কেন্দ্রের ছাড়পত্র মিলেছে। পশ্চিবঙ্গ সরকারের ১০জন ডব্লিউবিসিএস অফিসারকে আইএএস পদমর্যাদায় উন্নীত করল রাজ্য সরকার। নিয়ম বলছে, আট বছর ধরে চাকরি করার পরে ডব্লিউবিসিএস হিসাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার পরে আইএএস হিসাবে উন্নীত হওয়ার সুযোগ মেলে। তবে সেটা যে সবসময় আট বছর হওয়ার পরেই হয় এমনটা নয়। চাকরি জীবনের অনেকগুলো বছর কেটে যাওয়ার পরেও অনেকেই এই সুযোগ পান না। বছরের পর বছর ধরে কেটে যায়। তাঁরা ডব্লিউ বিসিএস হিসাবেই থেকে যান। তারপর হয়তো দু দশক চাকরি করা পরে আইএএস হওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়। তবে এবার অন্তত ১০জন WBCS অফিসার এই IAS হওয়ার সুযোগ পেলেন।
এবার যাঁরা আইএএস হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন তাঁরা হলেন ভিজিল্যান্স কমিশনের বিশেষ সচিব শ্রীকৃষ্ণকান্ত সিংহ, স্বরাষ্ট্র ও পর্বতাঞ্চল বিষয়ক দফতরের তিন বিশেষ সচিব অমিতাভ সেনগুপ্ত, জিতেন্দ্র রায় ও অনিন্দ্য সেনগুপ্ত। পশ্চাদপদ জাতি উন্নয়ন দফতরের বিশেষ সচিব অনিন্দ্য কুমার কর, মঞ্জুষার ম্যানেজিং ডিরেক্টর অমিত দত্ত, আবাসন দফতরের বিশেষ সচিব সৌম্যজিৎ দাস নারী ও শিশুকল্যান দফতরের বিশেষ সচিব পর্ণা চন্দ, মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের ওএসডি দীপঙ্কর মণ্ডল, পুর ও নগরউন্নয়ন দফতরের বিশেষ সচিব মিউটিনি বন্দ্যোপাধ্য়ায়। চাকরি জীবনে এই উন্নতি তাঁদের কাছে অন্যতম বড় প্রাপ্তি বলেই মনে করা হয়। তাঁদের সার্বিক কাজ, তাঁদের কেরিয়ার সহ নানা বিষয়ের ক্ষেত্রেও এই নয়া তকমা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
আগে পদোন্নতির ক্ষেত্রে বয়সের উর্ধ্বসীমা ছিল ৫৪ বছর। বর্তমানে সেই বছর কিছুটা বৃদ্ধি করে তা হয়েছে ৫৬ বছর।