তাঁর দফতরের আমলার ছেলের শরীরে মিলেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। তাই নিজেকে গৃহ পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী। ব্যক্তিগত পরিচয়ে যাঁরা স্বামী – স্ত্রী।
সোমবার করোনাভাইরাস আক্রান্ত যুবকের মা নবান্নে নিজের দফতরে যান। সেখানে আলাপনবাবুর সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন তিনি। মঙ্গলবার রাতে ওই আমলার ছেলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে জানা যায়। এর পর বুধবার দফতরে আসেননি আলাপনবাবু। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাননি সোনালিদেবীও। পরে খোঁজ খবর করে জানা যায়, স্বেচ্ছায় গৃহ পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তাঁরা। গৃহ পর্যবেক্ষণে রয়েছেন স্বরাষ্ট্র দফতরের আরও একাধিক কর্মী। যে আমলার ছেলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তাঁর সোয়াব পরীক্ষার রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত গৃহ পর্যবেক্ষণেই থাকবেন তাঁরা।
সোমবার বিকাশ ভবনে রাজ্যের অন্য বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালিদেবী। সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। তবে তখনও আলাপনবাবুর সঙ্গে সোনালিদেবীর সাক্ষাৎ না হওয়ায় সেখানে ভাইরাস সংক্রমণের কোনও সম্ভাবনা নেই।
আক্রান্ত যুবকের মায়ের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ না থাকলে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন আলাপনবাবু-সহ স্বরাষ্ট্র দফতরের অন্যান্য আধিকারিকরা। কিন্তু তাঁর দেহে সংক্রমণ মিললে অন্তত ১৪ দিন বিচ্ছিন্ন অবস্থায় কাটাতে হবে তাঁদের। সেক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্রসচিবের অনুপস্থিতিতে রাজ্য প্রশাসন কী ভাবে চলবে তা নিয়েও উদ্বিগ্ন নবান্নের শীর্ষমহল।