রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার বাকি আর মাস দুয়েক। এরই মধ্যে জাতীয় নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গে এবারও নির্বাচন হতে পারে ৭ দফায়। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে ১ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলতে পারে ভোটগ্রহণ। সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বাড়াতে বাড়বে বুথের সংখ্যা। যার ফলে বাড়বে নিরাপত্তারক্ষী ও ভোটকর্মীর সংখ্যাও। যা বড় চ্যালেঞ্জ কমিশনের সামনে।
মে-তে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে আরও ৪ রাজ্যে হবে বিধানসভা নির্বাচন। তবে এবারও সব থেকে বেশি মাথাব্যাথা পশ্চিমবঙ্গকে নিয়ে। রাজ্যে নির্বাচনী সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ইতিহাত ভাবেচ্ছে কমিশনকে। তার ওপর ইতিমধ্যে কলকাতা সফররত উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনকে রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে এসেছে বাম ও বিজেপি। তাই রক্তপাতহীন নির্বাচন করা এখন সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ কমিশনের কাছে।
তার ওপর রয়েছে করোনার ভ্রুকুটি। সংক্রমণ লক্ষ্যনীয়ভাবে কমলেও এখনো বিপদ পুরোটা কাটেনি। দিন কয়েকের মধ্যেই শুরু হয়ে যাবে করোনার টিকাকরণ। প্রথম দফায় ৩০ কোটি টিকা দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু এপ্রিলের মধ্যে কতজন টিকা পাবেন তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ফলে জনস্বাস্থ্যের ওপর সামগ্রিক ঝুঁকি কমাতে পশ্চিমবঙ্গে ২৮,০০০ বুথ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে ৭৭,০০০-এর কিছু বেশি বুথ। তেমনটা হলে তা ১ লক্ষ পার করবে।
পশ্চিমবঙ্গে একাধিক দফায় ভোট নতুন কিছু নয়। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন ও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণও ৭ দফায় করিয়েছিল কমিশন। কিন্তু তাতে হানাহানি রোখা যায়নি। এবার কমিশনের হাতে কত বাহিনী থাকে তার ওপর নির্ভর করে ঠিক হবে ভোটগ্রহণের দফা।