পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন হতে পারে বিহার মডেল অনুযায়ী। রাজ্যে বর্তমান আইন–শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এমনই ইঙ্গিত দিল ভারতের নির্বাচন কমিশন (ECI)। নভেম্বর মাসে করোনার বাড়বাড়ন্তের মধ্যেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এক শীর্ষ নির্বাচনী আধিকারিক বলেন, ‘এদিন উপ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন রাজ্যের একাধিক আইএএস ও আইপিএস অফিসারের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাঁদের মধ্যে বিভিন্ন জেলার ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপাররাও ছিলেন। বিহারের প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তা এইচ আর শ্রীনিবাসও এদিনের বৈঠকে বক্তব্য রেখেছেন। মহামারী পরিস্থিতিতে সেখানে কীভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সে ব্যাপারে তাঁর অভিজ্ঞতাও জানিয়েছেন তিনি।’
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সুদীপ জৈনের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের একটি দল যাবেন উত্তরবঙ্গে। সেখানে তাঁরা জেলা প্রশাসনের একাধিক কর্তাব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করবেন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের আইন–শৃঙ্খলার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কমিশন। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে রাজ্য প্রশাসনকে নির্দেশও দিয়েছেন আধিকারিকরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নির্বাচনী আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, ‘কমিশনের এই দল দিল্লি গিয়ে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করবে। তার পরই জানুয়ারি মাসে রাজ্যে আসতে পারে নির্বাচন কমিশনের সম্পূর্ণ বেঞ্চ।
এই সপ্তাহের শুরুতেই, সোমবার দিল্লিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরার দ্বারস্থ হয়ে পশ্চিমবঙ্গে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন ও নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি চালু করার দাবি জানিয়েছে এসেছে বিজেপি–র একটি প্রতিনিধি দল। ভোটের আগে প্রচার পর্বে হিংসার সম্ভাবনা ঠেকাতেই নির্বাচন কমিশনের কাছে এমন দাবি জানিয়েছে গেরুয়া শিবির।
যদিও রাজ্যের শাসকদল বিজেপি–র ভীতিকে উড়িয়ে দিয়েছে। রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্বের কথায়, ভোটারদের ওপর তৃণমূলের যে প্রভাব রয়েছে সেটাকেই ভয় পাচ্ছে বিজেপি। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর অর্ধেক লোককে বিজেপি নেতাদের দেহরক্ষী হিসেবে মোতায়েন করা হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে যেন পুরো সেনাবাহিনী তাঁদের সঙ্গে চলছে।’