দলের প্রতি ‘বেসুরো’ বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষোভ প্রশমনের জন্য সোমবার তাঁকে নিয়ে ফের বৈঠকে বসেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যদিও এদিন নাকতলায় পার্থর বাড়িতে বৈঠক সেরে বেরনোর পর ‘ক্ষোভ’ নিয়ে অনেকটাই স্বাভাবিক দেখা গেল রাজীবকে। দলের প্রতি তাঁর ক্ষোভ মিটেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কীসের ক্ষোভ? নিন্দুকদের কাজই হল নিন্দা করা।’
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনও ক্ষোভের কথা বলিনি। যা কথা হয়েছে দলের মধ্যে হয়েছে। সেটা নিশ্চিতভাবে দলের মধ্যের কথা। দলের একজন শৃঙ্খলাপরায়ণ কর্মী হিসেবে তা সংবাদমাধ্যমের সামনে বলা উচিত নয় বলেই মনে করি।’ এদিন দলের মহাসচিবের বাড়িতে বৈঠক প্রসঙ্গে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফ কথা, ‘দলের নেতা ডেকেছেন, তাই একজন দলীয় কর্মী হিসেবে এসেছি। এর আগেও আমি একাধিকবার পার্থদার বাড়ি এসেছি। তখন তো কেউ জানত না।’
গত রবিবারও (১৩ ডিসেম্বর) পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে বৈঠকে যান রাজীব। সেদিন সেখানে হাজির ছিলেন তৃণমূলের ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। সে বারও তিনি খানিটা নরম সুরেই বলেছিলেন, ‘দলের মধ্যে যদি কোনও ক্ষোভ থাকে সেটা নিশ্চিতভাবে আলোচনার মধ্যেই মিটবে বলে বিশ্বাস করি।’
শনিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি–তে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর তাঁর ছবির পাশে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া একাধিক পোস্টার দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন জেলায়। সে ব্যাপারে এদিন রাজীব বলেন, ‘পোস্টার প্রত্যেকের একটা ব্যক্তিগত মতামত আছে। শুভেন্দুবাবুর মতামত একান্ত ব্যক্তিগত। আমারও ভিন্ন মতামত। অন্য কারও সঙ্গে কারও মতামতের কোনও সম্পর্ক নেই।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি পাঁচলার বিধায়ক গুলশন মল্লিক দাবি করে বলেন, ‘রাজীবদা এখনও দলে রয়েছেন। ফলে এই নিজে জবাব দেবে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে আজ যেমন শুভেন্দু অধিকারী পদত্যাগ করেছেন তেমনই রাজীবদাও দল ছেড়ে দেবেন। যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে থেকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন তাঁরাই এখন তাঁর বিরুদ্ধে লড়ছেন।’