করোনা সংক্রমণ ধরতে এবার পশ্চিমবঙ্গে শুরু হচ্ছে Rapid Test. রবিবার এই মর্মে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর থেকে নির্দেশিকা জারি হয়েছে। Rapid Test-এর কেন্দ্র হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে ১৪টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে। নির্দিষ্ট জেলার পরীক্ষা পরিচালনার ভার থাকবে নির্দিষ্ট হাসপাতালের হাতে। তবে লালারস পরীক্ষার মতোই এই পরীক্ষা করতেও বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্য ভবনের অনুমতি।
এতদিন পশ্চিমবঙ্গে লালারসের নমুনা থেকে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি চিহ্নিত করা হচ্ছিল। এই পদ্ধতিতে নির্ভুলভাবে কারও শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে কি না তা বলা সম্ভব। কিন্তু এই পরীক্ষা সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল। উলটো দিকে Rapid Test- অ্যান্টিবডির উপস্থিতি দেখে অনুমান করা হয় সেই ব্যক্তির দেহে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব রয়েছে কি না। তবে এই পরীক্ষায় কখনোই নিশ্চিতভাবে ভাইরাসের উপস্থিতি বলা সম্ভব নয়। কোনও ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর নিজে থেকেই তা সেরে গেলেও Rapid Test-এ তাঁর পজিটিভ রিপোর্ট আসতে পারে। কিন্তু এই পরীক্ষায় সময় ও খরচ দুই কম।
রবিবার প্রকাশিত এই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে শুরু হবে করোনার Rapid Test. এজন্য ১৪টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে নির্দিষ্ট করা হয়েছে। কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ, জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ, রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ, মালদা মেডিক্যাল কলেজ, রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ, বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ, পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো মেডিক্যাল কলেজ, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ, ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ, কলকাতার স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন, আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ ও SSKM মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পরীক্ষা হবে।
শনিবারই Rapid Test নিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে ICMR. তাতে জানানো হয়েছে, করোনার হটস্পটে Rapid Test করানো যাবে। এই পরীক্ষা করানো যাবে করোনার হটস্পটের আসেপাশে। যে এলাকায় করোনা রোগীর সন্ধান মিলেছে সেখানে এই পরীক্ষা করানো যাবে। এছাড়া কোথাও করোনা রোগী না থাকলেও সেখানে সংক্রমণ ছড়িয়েছে কি না তা জানতে করা যাবে Rapid Test.
স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, কোনও অবস্থায় পরীক্ষার ফল কাউকে জানানো যাবে না। স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, এতে অহেতুক আতঙ্ক ছড়াতে পারে। যেহেতু এই পরীক্ষায় করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব নিশ্চিত ভাবে প্রমাণ করা যায় না তাই এর ফল পজিটিভ এলে লালারস পরীক্ষা বাধ্যতামূলক।
এছাড়া স্বাস্থ্য ভবনের অনুমতি ছাড়া কোথাও পরীক্ষা করা যাবে না বলে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে। তাতে দফতরের দাবি, কিটের অপচয় বন্ধ করতেই এই সিদ্ধান্ত। যদিও এতে লালারস পরীক্ষার মতোই Rapid Test-ও লাল ফিতের ফাঁসে পড়তে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।