সাম্প্রদায়িক হিংসায় উসকানি দিতে কারা সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করছে, তা জানতে দিন কয়েক আগেই জেলায় জেলায় নোডাল অফিসার নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই ঘোষণার পর দিন কয়েক কাটতে না-কাটতেই সাফল্য পেল রাজ্য পুলিশ। ফেসবুকে হিংসায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে চিহ্নিত করল একজনকে। এমনকী সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করল তার পরিচয়।
গত সপ্তাহে হুগলির তেলেনিপাড়ায় গোষ্ঠীসংঘর্ষ শুরু হতেই সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তোলার অভিযোগ ওঠে। বিশেষ করে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে নানা প্ররোচনামূলক পোস্ট। তেমনই একটি পোস্টের স্ক্রিনশট শেয়ার করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। তাতে ‘অমিত অমিতাভ’ নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘হুগলির তেলেনিপাড়ার সকল হিন্দু ভাইবোনদের বলছি একবার সামনে থেকে হর হর মহাদেব বলে লড়াই করুন। মার খেয়ে ফেসবুকে মরা কান্না কাঁদবেন না।’ গত ১২ মে-র এই পোস্ট ৭০০ বারের বেশি শেয়ার হয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে।
রাজ্য পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম অমিতাভ গুহ ওরফে নব। বারাসতের থানায় তার বিরুদ্ধে খুন ও ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরে ফেরার সে। ভিনরাজ্যে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে এই দুষ্কৃতী।
রাজ্য পুলিশের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, কোথাও অশান্তি তৈরি হলেই তাতে উসকানি দিতে লেগে পড়ে কিছু দুষ্কৃতী। আগে এলাকায় গিয়ে এই কাজ করত তারা। এখন সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে নিরাপদ দূরত্বে থেকে হিংসায় প্ররোচনা দিচ্ছে দুষ্কৃতীরা।
রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এই রকম হিংসায় কারা প্ররোচনা দিচ্ছে তার তালিকা তৈরি করছে পুলিশ। তাদের খুঁজে বার করে গ্রেফতার করা হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে ফেক প্রোফাইল ব্যবহার করে কেউ পরিকল্পনামাফিক এই কাজ করলে তাকে চিহ্নিত করা যে মুশকিল তা মানছেন পুলিশ আধিকারিকরা।