লকডাউন জারি হওয়ার পরে বন্ধ থাকলেও রাজ্যের বেশ কয়েকটি বেসরকারি স্কুলের মাসিক ফি বাড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ। একই সঙ্গে শিক্ষকদের মাসিক বেতন ছাঁটাইয়ের অভিযোগ উঠেছে একাধিক কলেজের বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেয়ে হস্পক্ষেপ করতে বাধ্য হল রাজ্য সরকার।
শুক্রবার বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষকে পাঠানো চিঠিতে শিক্ষা মন্ত্রকের প্রধান সচিব মনীশ জৈন লিখেছেন, ‘করোনা সংক্রমণ থেকে অধিবাসীদের রক্ষা করতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ করেছে রাজ্য প্রশাসন। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ফি মকুব করা, লাইসেন্স ফি অথবা কর বাবদ টাকা জমা দেওয়ার সময়সীমা সম্প্রসারণ। দুঃখের বিষয়, বেশ কিছু বেসরকারী ও সরকারি সাহায্যের বাইরে থাকা বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ডের অধীনে থাকা স্কুলে ছাত্রদের মাসিক ফি বাড়িয়ে দেওয়াই শুধু হয়নি, পাশাপাশি অভিভাবকদের এই লকডাউন পর্বে তা জমা দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।'
এই বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রকী পার্থ চট্টোপাধ্যায় আবেদন জানানো সত্ত্বেও তাতে স্কুল কর্তৃপক্ষ সাড়া দেয়নি বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন সচিব। বিষয়টি কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণ করা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে প্রশাসন, তিনি জানিয়েছেন।
একই সঙ্গে, বেশ কিছু কলেজে পার্ট টাইম লেকচারারাদের মার্চ মাসের বেতন দেওয়া হয়নি বলেও তাঁরা অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, যে হেতু লকডাউনে কোনও ক্লাস নেওয়া হয়নি, সেই কারণে তাঁদের বেতন থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
শনিবার এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদের নজরে এসেছে যে, বেশ কিছু কলেজ যারা নিজেরা পার্ট টাইম লেকচারার নিয়োগ করেছিল, তারা তাঁদের বেতন বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা এই ব্যাপারে একাধিক অভিযোগ পেয়েছি। কলেজ কর্তৃপক্ষকে পার্ট টাইম লেকচারারদের বেতন সরকারি ঘোষণা ছাড়া না বন্ধ করার জন্য বলা হচ্ছে।’
এই বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানা যায়নি।