অষ্টম বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে (বিজিবিএস) ৪ লাখ ৪০ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে। এমনই দাবি করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের একটি সংস্করণে ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এতদিন সেই রেকর্ড ছিল ২০২৩ সালের বিজিবিএসের ঝুলিতে। সপ্তম বিজিবিএসে ৩.৭৬ লাখ কোটি টাকার লগ্নি প্রস্তাব এসেছিল। এবার সেটা একলপ্তে বৃদ্ধি পেল। বৃহস্পতিবার শিল্প সম্মেলনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে মমতা জানিয়েছেন, এবার দেশ-বিদেশের মোট ৫,০০০ জন বিনিয়োগকারী ও প্রতিনিধি আসেন। ২১২টি মউ এবং আগ্রহপত্র স্বাক্ষর করা হয়েছে। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ, জিন্দল গোষ্ঠীর মতো সংস্থা বড় অঙ্কের বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে।
বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের ইতিহাসে বিনিয়োগের প্রস্তাব
১) প্রথম শিল্প সম্মেলন: ২.৪৩ লাখ কোটি টাকা।
২) দ্বিতীয় শিল্প সম্মেলন: ২.৫ লাখ কোটি টাকা।
৩) তৃতীয় শিল্প সম্মেলন: ২.৩৫ লাখ কোটি টাকা।
৪) চতুর্থ শিল্প সম্মেলন: ২.১৯ লাখ কোটি টাকা।
৫) পঞ্চম শিল্প সম্মেলন: ২.৮৪ লাখ কোটি টাকা।
৬) ষষ্ঠ শিল্প সম্মেলন: ৩.৪২ লাখ কোটি টাকা।
৭) সপ্তম শিল্প সম্মেলন: ৩.৭৯ লাখ কোটি টাকা।
৮) অষ্টম শিল্প সম্মেলন: ৪.৪ লাখ কোটি টাকা।
বিজিবিএসে বড়-বড় বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি
১) রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ: ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে, জানিয়েছেন মুকেশ আম্বানি।
২) জিন্দল গোষ্ঠী: ৩২,০০০ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
৩) অম্বুজা নেওয়াটিয়া গ্রুপ: আগামী কয়েক বছরে ১৫,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
৪) আরপিএসজি গ্রুপ: ১০,০০০ কোটি টাকার লগ্নির কাজ চলছে।
৫) আইটিসি: গত তিন-চার বছরে ৭,৫০০ কোটি টাকার লগ্নি করা হয়েছে।
৬) ইমামি গ্রুপ: আগামী কয়েক বছরে বড় অঙ্কের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
অশোকনগর নিয়ে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, যে সমস্ত প্রকল্পের কথা বলা হচ্ছে, তার মধ্য়ে অন্য়তম হল অশোকনগরের তৈল উত্তোলনের প্রকল্প। ওএনজিসিকে জমি দিয়েছে রাজ্য সরকার। ওরা তেলের সন্ধান পেয়েছে। গ্যাসেরও সন্ধান পেয়েছে। এগুলি বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলন করা হবে। ওএনজিসিকে সবরকমভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে। ভারতের পেট্রোলিয়ামের মানচিত্রে এবার বাংলা থাকবে।