একদিকে লকডাউনে ইতি, অন্যদিকে প্রবাসী শ্রমিকদের ঘরে ফেরা। সঙ্গে মানুষের অসচেতনতা তো রয়েছেই। এই ত্রহ্যস্পর্শে মাত্র ১২ দিনে দ্বিগুণ হল পশ্চিমবঙ্গে Covid-19 সংক্রমিতের সংখ্যা। যা আশঙ্কার কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তথ্য পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, গত ২৪ মে থেকে পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধি পাওয়ার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। বলে রাখি, গত ১৯ মে রাজ্যের অনুমতি ছাড়াই কেন্দ্রীয় সরকার শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন চালাবে বলে ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। এর ফলে বিভিন্ন জায়গায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই বাড়িতে ফিরে গিয়েছেন প্রবাসী শ্রমিকরা। আর এতেই বেড়েছে করোনা সংক্রমণের হার।
ট্রেন থেকে নামার পর ভিনরাজ্য ফেরত শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। কিন্তু কেন্দ্র রাজ্যকে না জানিয়ে ট্রেন চালানোয় সব জায়গায় স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে পারেনি রাজ্য। বেশ কিছু জায়গায় চেন টেনে ট্রেন থেকে নেমে পড়েছেন শ্রমিকরা। কিছু জায়গায়, রাজ্যপ্রশাসনের তরফেও গাফিলতি ছিল বলে দাবি।
পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণের তথ্যের দিকে তাকালে দেখা যাচ্ছে, গত ২৪ মে থেকে প্রায় রোজই সংক্রমণের নতুন রেকর্ড হয়েছে রাজ্যে। ২৪ মে প্রথম একদিনে ২০০-র বেশি আক্রান্তের খোঁজ মেলে। ২৮ মে সংখ্যাটা ছিল ৩৪৪, ৩১ মে তা দাঁড়ায় ৩৭১-এ, ২ জুন সংখ্যাটা হয় ৩৯৬, ৫ মে অর্থাৎ শুক্রবার সব রেকর্ড ভেঙে পশ্চিমবঙ্গে একদিনে ৪২৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
শুক্রবার পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭,৩০৩। দেখা যাচ্ছে, গত ২৪ মে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩,৬৬৭। অর্থাৎ প্রায় ১২ দিনে দ্বিগুণ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।
আশঙ্কার এই খবরের মধ্যে রয়েছে আশার খবরও। ১০ দিনে পশ্চিমবঙ্গে দ্বিগুণ হয়েছে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যাও। গত ২৬ মে পশ্চিমবঙ্গে করোনামুক্ত ব্যক্তির সংখ্যা ছিল ১,৪৮৬। শুক্রবার তা বেড়ে হয়েছে ২,৯১২।