দেশজুড়ে লকডাউনের কারণে ব্যবসা ঝিমিয়ে পড়েছে। সংকট থেকে মুক্তি পেতে সীমিত সংখ্যক কর্মী ও গ্রাহকের প্রবেশ-সহ সরকারি বিধিনিষেধ মেনে ফের শপিং মল ও শপিং সেন্টারগুলি চালু করার জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হল শপিং সেন্টার্স অ্যাসোসিয়েশমন অফ ইন্ডিয়া (SCAI)।
অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা অধিকর্তা তথা চেয়ারম্যান অমিতাভ তানেজা জানিয়েছেন, দেশের জিডিপির ১০ শতাংশের বেশি জুড়ে রয়েছে খুচরো ব্যবসা। এই শিল্পক্ষেত্রে কর্মরত প্রায় ১.২০ কোটি কর্মী।
গত ১ মে মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে চিঠি পাঠিয়েছে SCAI। বেশ কিছু শর্ত উল্লেখ করে শপিং মল চালু করার আবেদন জানানো হয়েছে। শর্তগুলির অন্যতম হল কমন এরিয়া ও মোট লিজ অধীনস্থ এলাকার ৫০% ব্যবহার, খাবার জায়গায় গ্রাহকদের মধ্যে ন্যূনতম ৫ ফিট ব্যবধান বজায় রাখা, প্রবেশ ও প্রস্থানপথে প্লেক্সিগ্লাস বসানো, পার্কিং এলাকার ৫০% ব্যবহার, শৌচাগারে নিয়ন্ত্রিত উপস্থিতি, বিজ্ঞাপনমূলক কাজ বন্ধ এবং দোকানে ঢোকা ও বেরোনোর পথে সেন্সর ভিত্তিক স্যানিটাইজেশন প্রক্রিয়া চালু করা।
চিঠির জবাবে রাজ্য সরকারের তরফে অ্যাসোসিয়েশনকে জানানো হয়েছে, শপিং মল চালু করার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনুমোদন দেওয়া হবে।
অ্যাসোসিয়েশনের হিসেবে, শপিং মলে সাধারণত প্রতি বর্গফুটে বছরে ১০,০০০ টাকার ব্যবসা হয়। এ ছাড়া কলকাতার ব়ড় মাপের মলগুলিতে এই পরিমাণ বছরে প্রায় প্রতি বর্গফুটে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত পৌঁছায়। এই কারণেই অ্যাসোসিয়েশনের আর্জি, কয়েক হাজার কর্মীর গ্রাসাচ্ছাদনের কথা বিবেচনা করেও অন্তত শর্তসাপেক্ষে চালু করা হোক শপিং মল।