করোনা সংক্রমণ রাজ্যে যখন লাফিয়ে বাড়ছে তখন স্কুল খোলার আর ঝুঁকি নিল না সরকার। শনিবার পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন জুলাই মাসে খুলবে না স্কুল। কলেজ-ইউনিভার্সিটির পরীক্ষা কী ভাবে নেওয়া যায় তা নিয়ে উপাচার্যরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান তিনি। খুব তাড়াতাড়ি ঘোষণা করা হবে সেই সিদ্ধান্ত।
শনিবার পার্থবাবু বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে রাজ্যের ছাত্র, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের স্বাস্থ্য আমাদের কাছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তারা যেন কোনও ভাবে সংক্রমিত না হয়ে পড়েন সেজন্য জুলাই মাসেও স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
তিনি জানান, ‘শিক্ষায় করোনার প্রভাব পড়েছে। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে শিক্ষাবর্ষ নিয়ে ভাবনা চিন্তা করতে হবে।’ তবে নতুন শিক্ষাবর্ষ কবে শুরু হবে তা নিয়ে মুখ খোলেননি তিনি। জুলাইয়ে উচ্চমাধ্যমিকের বাকি ৩টি পরীক্ষা হবে বলে আগে থেকেই জানিয়েছেন পার্থবাবু। তিনি জানান, অগাস্টে উচ্চমাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ হবে। জুলাইয়ে প্রকাশিত হবে মাধ্যমিকের ফল। তার আগে একাদশে ভর্তির রূপরেখা ঠিক করবে রাজ্য সরকার।
সঙ্গে তিনি জানান, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শুধুমাত্র ফাইনাল পরীক্ষা হবে। অন্য কোনও পরীক্ষা নিতে বারণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইনাল পরীক্ষা কী করে নেওয়া হবে তার রূপরেখা ইতিমধ্যে সহমতির ভিত্তিতে ঠিক করে ফেলেছেন রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা। খুব তাড়াতাড়ি সেব্যাপারে ঘোষণা হবে।
বলে রাখি, গত মার্চ মাস থেকে বন্ধ রাজ্যের সমস্ত স্কুল। আগামী ৩০ জুনের পর রাজ্যের সমস্ত স্কুল খোলার কথা থাকলেও এদিন ফের স্থগিত হয়ে গেল সেই পরিকল্পনা। ফলে আপাতত বা়ড়িতেই বন্দি থাকতে হচ্ছে পড়ুয়াদের।