মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা কবিতা পাঠ করে বাজেট ভাষণ শেষ করলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বুধবার বিকেলে বিধানসভায় বাজেট পেশ করেন পশ্চিমবঙ্গের অর্থ প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত)। আগামী অর্থবর্ষে (২০২৫-২৬ অর্থবর্ষ) রাজ্য সরকারের কী কী পরিকল্পনা, কোন খাতে কত টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে, কোন নয়া প্রকল্প শুরু করা হচ্ছে, রাজ্য সরকার কী কী সাফল্য পেয়েছে, সেটা তুলে ধরেন। বিস্তারিতভাবে পুরোটা জানান। তারপর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর লেখা একটা কবিতা পড়ে বাজেট ভাষণ শেষ করেন চন্দ্রিমা।
কেন মমতার সেই কবিতা বেছে নিয়েছেন? ব্যাখ্যা চন্দ্রিমার
পশ্চিমবঙ্গের অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'শত প্রতিকূলতা ও বাধা কাটিয়ে রাজ্যবাসীদের একটি স্বচ্ছ, নিরবিচ্ছিন্ন এবং সুসংহত সামাজিক পরিকাঠামোর মাধ্যমে আকাঙ্খিত জীবনযাপন প্রদানের অঙ্গীকার ফুটে উঠেছে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর রচিত একটি কবিতার পঙক্তিতে….।' আর তারপর মুখ্যমন্ত্রীর লেখা কবিতা পাঠ করেন পশ্চিমবঙ্গের অর্থ প্রতিমন্ত্রী।
মমতার লেখা কবিতা পাঠ চন্দ্রিমার
'সকল বাধা ছিন্ন করে
জাগবে যৌবন নতুন সুরে
বুকের ভাঙা পাঁজর সরিয়ে
বাংলা জাগবে বিশ্বের ভোরে।
বৈশাখের দুরন্ত অশান্ত ঝড়ে
মুছে যাক দুঃখ বক্ষ পাঁজরে।
ভেঙে যাওয়া পাঁজরকে শক্ত করে
বিশ্ববাংলা আসবে বাংলার দ্বারে
ছুড়ে ফেলে দিয়ে ব্যর্থতার গ্লানি
দৈনিক স্পন্দনে আসবে স্বপ্নের হাতছানি।'
এবার বাজেটের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ও ঘোষণা
১) পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের চার শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাড়ানো হচ্ছে। যা কার্যকর হবে আগামী ১ এপ্রিল থেকে।
২) গঙ্গাসাগর সেতু নির্মাণের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
৩) ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
৪) 'সুফল বাংলা'-র অতিরিক্ত ৩৫০টি স্টল খোলা হবে।
৫) ৭০,০০০ আশাকর্মী এবং এক লাখের বেশিও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মচারীকে স্মার্টফোন দেওয়া হবে।
৬) 'নদী বন্ধন'-র প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছে। যে প্রকল্পের মাধ্যমে জীবিকা সংস্থানের পথ উন্মোচন করা হবে।
৭) প্রতিটি জেলা ও সদরে একটি শপিং মল এবং বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স তৈরি করা হবে। তার মধ্যে দুটি তলা সংশ্লিষ্ট জেলার স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও শিল্পী-কারিগরদের স্টলের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।
৮) বাংলার বাড়ি প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য ৯,৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
৯) গ্রামীণ রাস্তা তৈরির জন্য ১,৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার।