পুজোর ঢাকে কাঠি পড়তে আর বেশিদিন নেই। আগামী ৬ই অক্টোবর মহালয়া। এরপর ১১ অক্টোবর থেকে পুরোদমে পুজো শুরু হয়ে যাবে। এদিকে বাংলার গ্রামীণ এলাকা থেকে প্রচুর মানুষ এই সময় শহরে পুজোর বাজার করতে আসেন। পুজো দেখতেও শহরমুখী হবেন অনেকেই। সেকারনে এবার গ্রামীণ ও মফস্বল এলাকায় টিকাকরণে জোর দিতে চাইছে রাজ্য সরকার। টিকাকরণের ফোকাসটাকে কিছুটা ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ৬০-৭০ শতাংশ টিকা গ্রামীণ ও মফস্বল এলাকায় দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক একথা জানিয়েছেন।
১লা এপ্রিল থেকে ১৮ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পরিসংখ্যান দেখলে দেখা যাচ্ছে গ্রামীণ এলাকায় ২০.০৩ মিলিয়ন ডোজ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ১০.৮ মিলিয়ন ডোজ কেবলমাত্র গ্রামীণ এলাকায় দেওয়া হয়েছে। এদিকে শহরের প্রায় ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ মানুষ প্রথম ডোজ পেয়েছেন। অন্যদিকে শহরতলি থেকে প্রচুর মানুষ টিকার জন্য শহরের হাসপাতালে আসছেন। আসলে একদিকে যেমন গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্য় পরিকাঠামো ঠিক শহরের মতো নয়। তেমনি গ্রাম থেকে অনেকেই শহরের হাসপাতালেই রোগ সারাতে আসেন। টিকার ক্ষেত্রেও তাঁরা শহরের হাসপাতালে চলে আসছেন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫০.২ মিলিয়ন মানুষ টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। এরমধ্যে ৩০.৭ মিলিয়ন মানুষ প্রথম ডোজ ও ১৫.২ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। এক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, গত ১৮ই সেপ্টেম্বর বাংলায় ১৩০২৮৬৪ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছিল যা এযাবৎকালে সর্বোচ্চ।