বেআইনিভাবে পুকুর ভরাট করার অভিযোগ উঠেছিল বিধাননগরে। যদিও এই অভিযোগ নতুন কিছু নয়। তবে এই ভরাট হয়ে যাওয়া পুকুরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু করল বিধাননগর পুরসভা। বুধবার থেকে পুকুরকে আগের অবস্থায় ফেরানোর কাজ শুরু হয়। অভিযোগ, পুজোর সময় সরকারি ছুটি থাকাকালীন এই পুকুরটি বুজিয়ে ফেলা হয়েছিল। স্থানীয়দের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে তৎপর হয় বিধাননগর পুরসভা।
আরও পড়ুন: ‘কলকাতা শ্বাস নিতে পারছে না’, জলাভূমি ভরাট নিয়ে কড়া মন্তব্য বিচারপতি সিনহার
জানা গিয়েছে, বিধাননগরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত ওই পুকুরটি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন। একটি স্কুলের পিছনের দিকে এই পুকুরটি রয়েছে। যারা এই পুকুর ভরাট করেছিল, তাদেরকে নোটিশ পাঠানো হবে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও বিধাননগর পুরসভায় এই ধরনের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। সেক্ষেত্রে এরকম অভিযোগ বারবার পাওয়া গিয়েছে। বেশ কয়েকটি পুকুর আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিয়েছে বিধাননগর পুরসভা। সেক্ষেত্রে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ জানিয়েছিল। তবে ভয়ে স্থানীয়রা নাম জানাতে না চাওয়ার ফলে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বিধাননগর পুরসভার পরিবেশ দফতরের মেয়র পারিষদ রহিমা বিবি জানান, পুজোর সময় এই পুকুর ভরাট করা হয়েছিল। খবর পাওয়ার পরে পুরসভার তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, পুরসভার পক্ষ থেকে জলাভূমি ভরাট না করার জন্য নিয়মিত প্রচার চালানো হয়। তা সত্ত্বেও এই ধরনের ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক।
প্রসঙ্গত, এর আগেও বিধান নগরে পাঁচটি পুকুর এভাবে ভরাট করা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে পুকুরগুলি পুনরায় খুঁড়ে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনে পুরসভা। পুরসভার আধিকারিকদের মতে, যারা পুকুরে মাটি ফেলছে, তারা দোষী নয়, যারা ফেলাচ্ছে তারাই দোষী। সেক্ষেত্রে তাদেরকে ধরতে পারলে এই ধরনের ঘটনা বন্ধ করা যাবে। এক্ষেত্রে ক্রোমোটিক চক্র জড়িয়ে থাকার অভিযোগ তুলছেন স্থানীয়রা। তাছাড়া এই সমস্ত ঘটনায় অনেক ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক নেতাদের নাম জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। যদিও এ বিষয়ে থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে সে ক্ষেত্রে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বিধাননগর কমিশনারেটের আধিকারিকরা জানিয়েছেন। তবে অনেক ক্ষেত্রেই অভিযোগ জানানো হলেও নাম জানানো হয় না বলে জানিয়েছে পুলিশ।