আরজিকরে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় পরতে পরতে রহস্য। ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু অনেকেই দাবি করছেন এই ঘটনায় একাধিক জন জড়িত থাকতে পারে। কিন্তু সেই রাতে ঠিক কী হয়েছিল? সেই প্রশ্নটাও ভাবাচ্ছে অনেককে।
গত বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনা। আরজিকরের সেমিনার হলে ঘটে যায় এক হাড়হিম করা ঘটনা। কিন্তু এবার প্রশ্ন সেই রাতে ঠিক কী হয়েছিল। পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে তার কিছু আভাস উঠে এসেছে।
সূত্রের খবর, সেদিন রাতে অনলাইনে খাবার আনিয়েছিলেন ওই মহিলা চিকিৎসক। সেই রাতে আরও চারজন পড়ুয়া ডাক্তার ওই মহিলা চিকিৎসকের সঙ্গে খাওয়া দাওয়া করেছিলেন। এদিকে সাতজন চিকিৎসককে সোমবার ডেকে পাঠিয়ে জেরা করা হয়েছিল। তাদের মধ্য়ে চারজনের সঙ্গে তিনি খেয়েছিলেন। আর তিনজন ওই চার চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করেছিলেন সেই রাতে।
সেই রাতে রাত ১১টা নাগাদ তাঁদের খাওয়া মেটে। এরপর ওই মহিলা চিকিৎসক সেমিনার হলে শুতে যান। রাত ২টো নাগাদ একজন সেমিনার হলে আসেন। তিনি চিকিৎসা সংক্রান্ত কিছু কথা বলতে এসেছিলেন। এরপর তাঁর সঙ্গে অল্প কিছু কথা বলে আবার ওই জুনিয়র চিকিৎসক পড়াশোনা করছিলেন।
এরপর রাত ২টো নাগাদ ওই তরুণী চিকিৎসকের ফোনে একটা মেসেজ আসে। সেটা আসলে ছিল তাঁরই এক পাড়ার মেয়ের। কিন্তু সেই সময় উত্তর আসেনি। উত্তর আসে রাত ২টো ৩৫ মিনিটে। তার মানে সেই সময় জেগে ছিলেন ওই চিকিৎসক।
এরপর রাত তিনটে নাগাদ হাসপাতালের এক কর্মী কারোর খোঁজে এসেছিলেন সেমিনার হলে। কিন্তু সেই সময় দেখা গিয়েছিল ওই চিকিৎসক লাল রঙের কম্বল গায়ে দিয়ে শুয়ে রয়েছেন। সম্ভবত ঘুমোচ্ছিলেন। তারপরেই সম্ভবত এই ঘটনা। তার মানে রাত তিনটের পর এই ঘটনা। সকালে যখন দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল তখন লাল কম্বলটি ছিল না। গোলাপি রঙের চুড়িদার ছিল। কিন্তু নিম্নাঙ্গ অনাবৃত। এরপরই পুলিশ দেহ উদ্ধার করে। চারদিকে জানাজানি হয়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ।
তারপরই গ্রেফতার করা হয় সঞ্জয় রায়কে। এবার প্রশ্ন সঞ্জয় কেন গিয়েছিল ওই সেমিনার হলে? তবে কি সঞ্জয়কে খবর দেওয়া হয়েছিল যে ওই চিকিৎসক সেমিনার হলে রয়েছেন? বাইরের কোনও নির্জন জায়গায় নয় ভরা হাসপাতালে হয়ে গেল ভয়াবহ ঘটনা। নাড়িয়ে দিল গোটা দেশকে। কিন্তু একা সঞ্জয়ের পক্ষে কি এটা করা সম্ভব?