চাইছেন ভাত, খাসির মাংস। সঙ্গে তেলেভাজারও আবদার। ইডি হেফআজতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের খাওয়ার আবদারের অন্ত নেই। তবে আবদার মতো মিলছ না খাবার। ইডির কড়া শাসনে অল্পটুকু খেয়েই দিন কাটছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর। এদিকে তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ও নাকি একাধিক আবদার করেছিলেন ইডির কাছে। তবে অর্পিতার দাবিও মানা হচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে। সকাল সন্ধ্যা সাধারণ খাবারেই পেট ভরাতি হচ্ছে অর্পিতা ও পার্থকে।
জানা গিয়েছে, পার্থকে সকালে লিকার চা, ২টো ক্রিম ক্র্যাকার বিস্কিট, ওটসের খিচুড়ি, দুই রকমের ফল দেওয়া হচ্ছে। এরপর দুপুরে মুরগির মাংস ও মুসম্বির রস দেওয়া হচ্ছে। সন্ধ্যায় আরও এক দফা চা বিস্কিট দেওয়া হচ্ছে পার্থকে। রাতে দুটি রুটি এবং সঙ্গে তরকারি দেওয়া হচ্ছে। এদিকে অর্পিতা নাকি ব্ল্যাক কফি এবং ড্রাই ফ্রুটস চেয়েছিলেন খাওয়ার জন্য। তবে সেসব তিনি পাচ্ছেন না। সকালে অর্পিতাকে দেওয়া হচ্ছে চিনি ছাড়া লিকার চা, ব্রাউন ব্রেড, ডিম সেদ্ধ, কলা, ফলের রস। দুপুরে দেওয়া হচ্ছে ভাত, রুটি, মাছ, তরকারি, ডাল। সন্ধ্যায় চা বিস্কিট পাচ্ছেন তিনিও। রাতে দুটো রুটি সঙ্গে তরকারি দেওয়া হচ্ছে তাঁকে।
উল্লেখ্য, ৩ অগস্ট পর্যন্ত ইডি হেফাজতে পাঠানো হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। এরই মাঝে সোমবার রাতে ফের একবার অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বেলঘরিয়ার আবাসনে হানা দেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। এই আবাসনে কারা আসা যাওয়া করতেন, তা খুঁজে বের করতেই এই অভিযান বলে জানা গিয়েছে। এই আবহে আবাসনের রেজিস্টার সংগ্রহ করেন ইডি আধিকারিকরা। পাশাপাশি আবাসনের বিশেষ অ্যাপের তথ্যও জোগাড় করেন তাঁরা। এদিকে সিসিটিভি ফুটেজ হাতে পাননি ইডি আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই নাকি সিসিটিভি ফুটেজ ইডির হাতে তুলে দেওয়া সম্ভব হয়নি।