পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল কোটি কোটি টাকা। এই টাকার পাহাড় দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন আম বাঙালি। হিসাব বলছে অর্পিতার টালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে উদ্ধার করা হয়েছিল নগদ ২১ কোটি টাকা। অন্যদিকে বেলঘড়িয়ার ফ্ল্যাট থেকে পাওয়া গিয়েছিল ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। কিন্তু এত বিপুল টাকা এল কোথা থেকে? সেই প্রশ্নের উত্তর মেলেনি এখনও।
তবে তার মাধ্যমেই জেলের অন্দরে ভার্চুয়াল মাধ্যমে একে অপরকে লাভ সাইন, প্রেম নিবেদনও সবই চলেছে পুরোদমে। তবে শুধু ওই বিশেষ প্রশ্নটির উত্তর কিছুতেই মেলেনি। বঙ্গবাসীর একটাই প্রশ্ন এত টাকা কোথা থেকে এল? এদিকে অর্পিতা আগেই বলেছিলেন এই টাকা তার নয়। কিন্তু তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন এই টাকা পার্থর। আবার পার্থও আগেই বলেছিলেন এই টাকা তার নয়। এক্ষেত্রে টাকা কার এই প্রশ্নের উত্তর মেলেনি আজও।
সোমবার আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে পার্থকে হাজির করানো হয়েছিল। আদালত থেকে বের হওয়ার সময় সংবাদমাধ্যমের তরফে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, অর্পিতার বাড়িতে এত টাকা এল কীভাবে? আর সেই প্রশ্ন শুনে রহস্যটা জিইয়ে রাখলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, খুঁজে বার করুন। ঠিকঠাক উত্তর দেওয়া তো দূরের কথা তিনি গোটা বিষয়টিই কার্যত ঝুলিয়ে রাখলেন।
অনেকের অভিযোগ এই টাকা দুর্নীতির টাকা। চাকরি চুরির টাকা। কিন্তু সেসব নিয়ে সরাসরি কোনও কথা কোনও দিনই বলেননি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। উলটে ঝুলিয়ে রেখেছেন গোটা বিষয়টি। গোটা বাংলা এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইছেন। বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরাও এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইছেন। তদন্তকারী এজেন্সিও এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চান। কিন্তু সেই প্রশ্নের উত্তর না দিলে রহস্য ক্রমশ বাড়িয়ে দিচ্ছেন পার্থ।
এদিকে পার্থ ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন চাকরি চুরির তিনি কিছুই জানেন না। তিনি শুধু মন্ত্রী ছিলেন। এখানেই প্রশ্ন তবে এই কোটি কোটি টাকা এল কীভাবে? সকলেই বলছেন তারা কিছুই জানেন না। তাহলে জানেন না কে?
এদিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে ক্রমেই একের পর এক তৃণমূল নেতার নাম সামনে আসছে। একাধিক বিধায়ক বর্তমানে জেলে রয়েছেন। আরও এক ঝাঁক নেতাকে ঘিরে উঠছে প্রশ্ন। কিন্তু পার্থ অবশ্য় তা নিয়ে নির্বিকার। টাকা নিয়ে তার জবাব, খুঁজে বের করুন।