সুন্দরবনে বাঘের হানায় মৃত ব্যক্তির পরিবারগুলির জন্য কী ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার, তা জানতে চাইল হাই কোর্ট। ৪ সপ্তাহের মধ্যে এই বিষয়ে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়েছে।
সম্প্রতি সুন্দরবনে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন অনেকেই। বাড়ির একমাত্র রোজগেরে সদস্যকে হারিয়ে দুর্বিসহ অবস্থার মধ্যে পড়েছেন অনেকেই। বাঘের হানায় মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা যাতে ক্ষতিপূরণ পায় সেই আর্জি নিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় দক্ষিণবঙ্গ মৎসজীবী সমিতি। সেই মামলায় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ জানতে চায়, বাঘের হানায় সুন্দরবনে কত জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্য সরকার ওই সব পরিবারের জন্য কী ব্যবস্থা নিয়েছে। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, বাঘের হানায় যাদের মৃত্যু হয়েছে বা অঙ্গহানি হয়েছে, তাঁদের ক্ষতিপূরণ দিয়েছে রাজ্য সরকার। বাঘের হানায় হতাহতের সংখ্যা রাজ্য সরকারের কাছ থেকে সবিস্তারে জেনে রিপোর্ট পেশ করবেন। এরপরেই আদালত জানায়, ৪ সপ্তাহের মধ্যে এই বিষয়ে হলফনামা আদালতে জমা দিতে হবে।
এর আগে মামলাকারীর তরফে আইনজীবী অভিষেক সিকদার প্রশ্ন তোলেন, এমন অনেক পরিবার রয়েছে যাদের সংসারে একমাত্র রোজগেরে সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। শুধু স্বামীহারারাই নন, বাঘের হানায় অনেক পরিবারে কোনও ব্যক্তির স্ত্রীরও মৃত্যু হয়েছে। সেক্ষেত্রে সংসার চলবে কী করে। তাঁদের কী ক্ষতিপূরণের প্রয়োজন নেই। মামলাকারীর তরফে আইনজীবীর এই কথা শুনে আদালত এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের ভূমিকার কথা জানতে চান। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন এলাকায় বাঘের লোকালয়ে চলে আসার ঘটনায় আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। বাঘের হামলায় অনেক মৎসজীবীর মৃত্যুরও খবর সামনে আসে।