ভারত বিদ্বেষী একের পর এক মন্তব্য আসছে বাংলাদেশের বিভিন্ন জনের তরফ থেকে। এনিয়ে পালটা সুর চড়াচ্ছে ভারতের অনেকেই। বাক যুদ্ধ অব্যাহত। তার মধ্য়েই এবার বাংলাদেশকে নিশানা করে এক্স হ্য়ান্ডেলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়।
তিনি লিখেছেন,' টেকনাফ থেকে কক্সবাজার বাংলাদেশের বেহাত হবার মুখে !
বলি কি, এখন না হয় সেভেন সিস্টার্স অভিযান, কলকাতা দখল, ইত্যাদি স্থগিত থাক। লুঙ্গি টুঙ্গি সামলে দেশের দক্ষিণপ্রান্ত বাঁচান।'
এদিকে বরাবরই তথাগত রায় তাঁর বার্তায় এমন কিছু তুলে আনেন যা বিতর্কের জন্ম দেয়। এক্সে তথাগতর বক্তব্যের জবাবে অনেকে আরাকান প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন। অনেকে আবার এনিয়ে তথাগত রায়কে পালটা কটাক্ষ করেছেন।
তবে এবারই প্রথম নয়, বাংলাদেশ প্রসঙ্গে গত কয়েকদিন একের পর এক লিখেছেন তথাগত। তিনি সম্প্রতি বাংলাদেশ পরিস্থিত নিয়ে হাই কমিশনারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন। সেবারও এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছিলেন তিনি। কার্যত বাংলাদেশে থাকা ভারতীয় হাই কমিশনারের পর্যবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি।
সেখানে তিনি লিখেছিলেন, 'প্রণয় ভার্মা, বাংলাদেশে থাকা ভারতীয় হাই কমিশনারের পর্যবেক্ষণ, আমাদের সম্পর্কটা বহুমুখী। …সেটা একটা ইস্যুতে কমে যাবে না।
তার মানে এটা কী দাঁড়াচ্ছে?
হিন্দুদের মরতে দিন, তাঁদের শাস্তি পেতে দিন, আমরা একাধিক ইস্যু যেমন বাণিজ্য, যাতায়াত, পর্যটন ইত্যাদি চালিয়ে যাব? একটা ব্যাখা দিন।' লিখেছিলেন তথাগত রায়।
এবার লিখলেন বাংলাদেশ বেহাত হওয়ার মুখে।
তবে সামগ্রিক পরিস্থিতি বাংলাদেশে যেমন উঠছে ভারত বিদ্বেষী নানা কথা তেমনি ভারতের অনেকেই তার পালটা জবাব দিচ্ছেন। প্রতিবাদ করছেন। প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সেই আগের সম্পর্ক যেন কেমন গুলিয়ে গেল গত কয়েক মাসের মধ্যে।
সম্প্রতি 'চার দিনে কলকাতা দখলের' হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বাংলাদেশের এক প্রাক্তন সেনা কর্তা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল সেই ভিডিয়ো। তার সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। এরপরে বিএনপি নেতা রুহুল রিজভিও ভারতের একাংশ দখলের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। আবার বাংলাদেশের তিসরাই ইনসাফ পার্টির নেতা মিনাজ প্রধানও বলেন, 'আমরা চার দিনের মধ্যেই কলকাতা, আগরলতলা ও সেভেন সিস্টার্স দখল করে নিতে পারি।' যার পালটা জবাব দিয়ে বিধানসভায় সরব হয়েছিলেন খোদ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।