তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। এরপরই সোমবার ভিনরাজ্যে ক্ষমতা দখল নিয়ে তৃণমূলের সার্বিক পরিকল্পনার কিছুটা আভাস দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, এবার যে বাইরের রাজ্যে ক্ষমতা দখলকে পাখির চোখ করছে তৃণমূল সেব্যাপারেও আত্মবিশ্বাসী অভিষেক। সেক্ষেত্রে গোটা দেশের বিজেপি বিরোধী শক্তি কি এবার মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একজোট হবে? সেব্যাপারে অভিষেক জানিয়েছেন, ‘মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সংগ্রামের কথা দেশের প্রতিটি কোণায় আমরা পৌঁছে দেব।’
পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, ‘এমন কোনও রাজ্য নেই যেখান থেকে মানুষ ধন্যবাদ জানাননি। আমরা সকলের কাছে কৃতজ্ঞ। বাংলা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রায় ১ লক্ষ মেইল এসেছে । দেশকে মোদী অমিত শাহের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য আবেদন করছেন মানুষ। আমি ৪৮ ঘন্টা হল দায়িত্ব পেয়েছি। তবে দুতিন সপ্তাহ বা একমাসের মধ্যেই আমরা জানিয়ে দিতে পারব তৃণমূল কী করতে চাইছে। কোন রাজ্যগুলিতে আমরা যেতে চাইছি। কীভাবে আমরা দলকে সম্প্রসারণ করতে চাইছি। আমরা যেকোনও রাজ্যেই এবার যাই না কেন, সে ছোট রাজ্য হতে পারে, বা বড় রাজ্য হতে পারে, আমরা শুধু ভোটে লড়ার জন্য যাব না। আমরা খালি একটা দুটো বিধায়ক পাওয়ার জন্য যাব না। আমরা ভোট শেয়ার করার জন্য শুধু যাব না। যদি যাই তবে সেই রাজ্যকে জেতার জন্য যাব। আমরা বিরোধী দলের মর্যাদা পাওয়ার জন্য যাব না। সেটা উত্তর, দক্ষিণ ভারত, কিংবা উত্তর পূর্ব ভারত যে জায়গাই হোক না কেন।’
এখানেই প্রশ্ন ওঠে ওই নির্দিষ্ট রাজ্যে কি তাঁরা কংগ্রেসের মতো কোনও সর্বভারতীয় দলের সঙ্গে হাত মেলাতে চাইছেন? সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘সেই সিদ্ধান্ত পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।' ব্যক্তিগতভাবে তিনি ভিনরাজ্যে সংগঠনের কাজে যাবেন বলেও জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়।