করোনা সংক্রমণ এড়াতে কার্যত কড়া বিধি আরোপ করতে বাধ্য হয়েছে রাজ্য সরকার। তবে আশার কথা, রাজ্যে সংক্রমণের গ্রাফ ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে বলে সূত্রের খবর। কিন্তু নিরাশার কথা এটাই যে, কড়া বিধি আরোপের জেরে অনেকেরই জীবন জীবিকায় টান পড়তে শুরু করেছে। বিশেষত দিন আনি দিন খাই পরিবারগুলি একেবারে অথৈ জলে পড়ে গিয়েছে। এদিকে উভয় পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সরকার এবার কী ব্যবস্থা নেয় সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে বিভিন্ন মহল। সোমবার এব্য়াপারে চৃড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে পারে রাজ্য। কী হতে পারে সেই সিদ্ধান্ত? অন্যদিকে শহরতলিতে লোকাল ট্রেন কি চালু হবে? এসব নিয়েই নানা চর্চা চলছে বাংলা জুড়ে।
তবে বিভিন্ন সূত্রের খবর, একদিকে সংক্রমণ রোধ করা ও অন্য়দিকে বাসিন্দাদের একাংশের ভয়াবহ আর্থিক সংকট কিছুটা কমানো দুটোই সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। সেক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে, এবার কিছু ক্ষেত্রে শিথিল হতে পারে বিধি। তবে সমস্ত ক্ষেত্রে বিধি পুরোপুরি তুলে নেওয়া হবে না। পাশাপাশি কিছু বিষয়ে কড়া বিধির মেয়াদ আরও কয়েকদিন বাড়তে পারে। কী হবে ১৫ই জুনের পর তা নিয়ে আগ্রহ বাড়ছে বঙ্গবাসীর। বিভিন্ন মহল থেকে মনে করা হচ্ছে, ভিড় হয় এমন বিষয়গুলির উপর নিয়ন্ত্রণ বিধি বলবৎ থাকবে। ধাপে ধাপে হোটেল, রেস্তরাঁ খুলতে পারে। তবে সেখানেও হয়তো সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি শপিংমলগুলি খোলার ব্য়াপারেও একাধিক শর্ত আরোপ করা হতে পারে।
অন্যদিকে কিছুক্ষেত্রে ট্রেনের সংখ্য়া ধাপে ধাপে বৃদ্ধি করা হচ্ছে। তবে শহরতলির লাইফলাইন লোকাল ট্রেন চলবে কি না তা রাজ্য সরকারের একাধিক সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে। মেট্রোর ব্যাপারেও রাজ্যের কোর্টেই বল ঠেলতে পারে রেল।