'নন্দীগ্রামে হারবেন শুভেন্দু অধিকারী।' ২০২৬ সালের ফলাফল ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতেই বলে দিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। রীতিমতো হুঙ্কার ছাড়েন তিনি।
তবে শুধু তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ নন, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও ভবানীপুরে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের ফলাফল কী হবে তা কার্যত জানিয়ে দিয়েছেন।
এর আগে শুভেন্দু বলেছিলেন, আপনি( মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়) ভবানীপুরেও হারবেন। ভবানীপুরের হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ করে আপনাদের আমরা হারাব।
এবার তারই পালটা দিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
কুণাল ঘোষ বলেন, '২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন। চতুর্থবার মুখ্য়মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন এই ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে জিতে এসে। নন্দীগ্রামে তৃণমূল বিধায়ক রাজ্যের মন্ত্রী হিসাবে তৃণমূল বিধায়ক মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের মন্ত্রিসভায় থাকবেন। শুভেন্দু অধিকারী পরাজিত হবেন। লিখে রেখে দিন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় হবেন। বিরোধী দলনেতার পদটা পাওয়ার জন্য যে আসন দরকার পরিষদীয় রাজনীতিতে সেই আসন ভারতীয় জনতা পার্টি ২০২৬ সালে পাবে না। বিরোধী দলনেতার পদটাই থাকবে না। মুখ্য়মন্ত্রী থাকবেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় থাকবেন। বিরোধী দলনেতার পদও থাকবে না, শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামের বিধায়কও থাকবেন না।'
এদিকে এখনও বিধানসভা ভোটের বেশ অনেকটাই বাকি। তবে রাজনৈতিক দলগুলি তাদের মতো করে ঘর গোছাতে শুরু করেছে। এসবের মধ্য়েই রাজনৈতিক দলের নেতারা একে অপরকে নিশানা করে তির ছুঁড়ছেন। কুণাল ঘোষের দাবি, ভবানীপুর থেকে যদি শুভেন্দু অধিকারী দাঁড়ান তবে তার জমানত বাজেয়াপ্ত করা হবে। সেই সঙ্গেই কুণাল ঘোষের দাবি, নন্দীগ্রামেও পরাজিত হবেন শুভেন্দু অধিকারী।
তবে গোটা ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন রয়েছে। প্রথমত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে দাঁড়াবেন সেটা তৃণমূল নেতা এত আগে থেকে জানলেন কীভাবে? সেই সঙ্গেই নন্দীগ্রাম থেকে জিতলে তিনি মন্ত্রী হবেন নাকি হবেন না সেটা তো ঠিক করবেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেটা এত আগে থেকে এত জোরের সঙ্গে কুণাল ঘোষ কীভাবে বলতে পারেন? কারণ গোটা বিষয়টি তো ঠিক করবেন নেত্রী।
এর আগে কুণাল ঘোষ লিখেছিলেন, কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে আলাদা দল গড়ে সাফল্যের প্রশ্নে নেতাজি বা আমার পরমশ্রদ্ধেয় প্রণব মুখোপাধ্যায়ের থেকে অনেক এগিয়ে এবং সফল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজি দল গঠন করেছিলেন, কিন্তু তাঁর পরিচয় সেই দল হয়ে ওঠেনি। তাঁর উত্থান আরেক ভিন্ন স্রোতের নেতৃত্বে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস বাংলার মানুষের আশীর্বাদে রাজ্যে তৃতীয়বার সরকারে, কেন্দ্রে একাধিকবার সরকারে, সারা দেশে রাজনীতিতে ও উন্নয়নের মডেলে এই দলের প্রভাব।
ফলে নেতাজির জায়গায় নেতাজির যেমন মহাউচ্চতা ছিল, আছে, থাকবে; তেমনি কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে একা দল গড়ে সাফল্যের প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃতিত্বটা স্বীকার করুন।