এবারও ডুবেছে ঘাটাল। আর সেই ডুবে যাওয়া ঘাটালে ফের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান কবে হবে?
তবে এই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে কার্যত রাজনীতিবিদদের মধ্যে নানা ভিন্ন সুর। তবে এসব শুনে অবশ্য আর আশ্চর্য হন না সাধারণ মানুষ। কারণ তাঁরা ধরেই নিয়েছেন প্রতিবার ভোট এলেই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কথা বলা হবে। আর ভোট মিটলে ফের জলে ডুববে ঘাটাল বর্ষা এলেই।
তবে এবার পরিস্থিতি একটু অন্যরকম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেছিলেন, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান দু বছরের মধ্য়ে বাস্তবায়িত করা হবে। আর রবিবার সেই ঘাটালে গিয়েই বলেছিলেন, প্রকল্পটি শেষ হতে চার পাঁচ বছর সময় লাগবে। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছিলেন, ২০২৬ সালে তিনি প্রচারে আসবেন না যদি এই প্রকল্পের কাজ না হয়।
তবে সূত্রের খবর, দেবের মন্তব্য লক্ষ্য করেছেন মমতা। বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি সেচ দফতরের সচিবকে এনিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ২০২৬ সাল নাগাদ ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান শেষ করা হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।
সেই সঙ্গেই ২০২৯ সালে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান শেষ হবে এই ধরনের তথ্য় দেবকে কে দিয়েছেন তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে মমতা তরফে। খবর সূত্রের। কারণ ২০২৬ সালেই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান শেষ হবে বলে জানিয়েছেন মমতা। মনে করা হচ্ছে ২০২৬ সালের মধ্য়ে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান শেষ না হলে সেই বছরই বিধানসভা ভোট। সেক্ষেত্রে সেই বছরের মধ্য়ে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের কাজ শেষ না হলে ভোটারদের আর জবাবদিহি করা যাবে না।
এদিকে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান হয়নি মমতার জন্য। আর আগের সিপিএমের জন্য। মমতা চাইলে সাড়ে তেরো বছরে করত। মাস্টার প্ল্যানের এখন কোথায় কী! এখনও জমি অধিগ্রহণ করা হয়নি। কে জমি দেবে? এই দেউলিয়া সরকারকে কে জমি দেবে? ২০২৬ সালে বিজেপি সরকার হবে। বিজেপি মাস্টার প্ল্যান করবে।
কার্যত ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে নানা জনের নানা মত। এসব শুনে বিভ্রান্ত ঘাটালবাসী।
দেব সম্প্রতি বলেছেন, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ শুরু না হলে (২০২৬ সালের) প্রচারে যাব না। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় কথা দিলে কথা রাখেন। মানুষ অনেক সমস্যার মধ্যে আছেন। সবাই মিলে পাশে থাকতে হবে। সব ঠিক থাকলে জানুয়ারি ফ্রেব্রুয়ারি মাসে কাজ শুরু করতে পারা যেতে পারে।
সেই সঙ্গেই দেব বলেছিলেন, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান তিন মাসে সম্ভব নয়। জুন মাসে জিতেছি। জুন থেকে ধরলে তিন মাসে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান হয় না। রাজ্য সরকার চেষ্টা করছে । কাজটা দ্রুত গতিতে শুরু করার। জমি অধিগ্রহণ ও জমি পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে। কিছু জমিতে দোকান তৈরি হয়ে গিয়েছে। তাদের সঙ্গে কথা চলছে। রাস্তা দিয়ে বড় মেশিন ঢুকতে পারবে না। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, পাঁচ বছরের আগে সেই কাজ শেষ করা সম্ভব নয়।
এদিকে ২০২৪ সালের মে মাসে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ভোট প্রচারে গিয়ে বলেছিলেন, আমি কথা দিলে ১০০ শতাংশ কথা রাখি। আমি দেবকে বলেছি আমার ২-৩ বছর সময় লাগবে। হাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট। একটু সময় লাগবে।