কলকাতা পুলিশ কমিশনারের ইস্তফার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এদিকে সিপির অপসারন চেয়ে জনস্বার্থ মামলাও হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেই মামলায় রাজ্য়ের তরফে কোনও আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না বলে খবর। এদিকে সেই প্রসঙ্গেই আদালতে উঠে এল সন্দীপ ঘোষের মামলার প্রসঙ্গ। সেই মামলায় রাজ্য়ের তরফে আইনজীবী ছিল। পরে অবশ্য সেই মামলায় সন্দীপ ব্যক্তিগত আইনজীবী রাখেন।
এনিয়ে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ আলাদাভাবে মামলায় যুক্ত হয়েছিলেন। তার পরেও তাঁর হয়ে তিন দিন সরকারি আইনজীবীকে সওয়াল করতে দেখা গিয়েছে। পরে আবার আইনজীবী বদল হয়েছিল।
প্রধান বিচারপতি জানান, শুনলাম আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তার জন্য রাজ্যের প্যানেল থেকে এক আইনজীবী সওয়াল করেছিলেন। অথচ এই মামলাটিতে রাজ্যের আইনজীবী কেউ নেই।
এমনকী বিনীত গোয়েলের অপসারন সংক্রান্ত মামলার কোনও নোটিশ সরকারি আইনজীবী গ্রহণ করেননি বলে অভিযোগ উঠেছে। এভাবে সরকারি আইনজীবী না থাকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। তবে এবার সরকারি আইনজীবীকে নোটিশ গ্রহণ করতে বলেন। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
এদিকে পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাট–সহ একাধিক অভিযোগ ইতিমধ্যেই তুলে সরব হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। যে চিঠি বিরোধী দলনেতা পাঠিয়েছে রাষ্ট্রপতি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সেটা এক্স হ্যান্ডেলেও পোস্ট করেছেন। সেখানেই দেখা গিয়েছে পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের কাছ থেকে মেডেল ফিরিয়ে নেওয়ার আবেদন।
তিনি লিখেছিলেন, আইপিএস হিসেবে দক্ষতা এবং কৃতিত্বের জন্য ২০১৩ সালে ও ২০২৩ সালে পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল সর্বভারতীয় স্তরে জোড়া সম্মানে ভূষিত করা হয়। ‘রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক’ এবং ‘পুলিশ পদক’ পান তিনি। বিরোধী দলনেতা দাবি করেছেন, পুলিশ অফিসার হিসেবে এখন তিনি যে গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন সেটার মর্যাদা রক্ষা করতে পারছেন না। পুলিশ পদক পাওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছেন বিনীত গোয়েল। আর তাই তাঁকে দেওয়া সমস্ত পদক ফেরত নিয়ে নেওয়া হোক।
শুভেন্দু লিখেছিলেন, ‘আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের ভূমিকা নিন্দনীয় এবং লজ্জাজনক। তথ্যপ্রমাণ লোপাট ও হাসপাতালে হামলার ঘটনায় তাঁর ভূমিকায় যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। শাসকের স্বার্থে তদন্তে অন্তর্ঘাতের চেষ্টা করেছেন বিনীত গোয়েল। তাই এই মর্যাদাপূর্ণ সম্মানের যোগ্য নন তিনি। এই কারণে দুটি মেডেলই পুলিশ কমিশনারের কাছ থেকে ফিরিয়ে নেওয়া হোক।