কলকাতায় খুন হয়েছেন বাংলাদেশের এমপি আনওয়ারুল আজিম। ইতিমধ্য়েই এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। তাদের জেরা করতে বাংলাদেশে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সিআইডির টিম।
কলকাতায় বাংলাদেশের এমপির রহস্যমৃত্যু কার্যত একাধিক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। মূলত প্রশ্ন উঠছে কারা এই খুনের সঙ্গে যুক্ত? কেন ভারতে এসে খুন করা হল ওই এমপিকে? আর সেই এমপি খুনের পর তার দেহাংশ কোথায় ফেলা হয়েছে?
সূত্রের খবর, ভাঙড়ে ফেলা হয়ে থাকতে পারে বাংলাদেশের সাংসদের দেহাংশ। একটা অ্যাপ ক্যাব চালককে জেরা করে তেমনটাই ইঙ্গিত মিলেছে বলে খবর। সেক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে পোলেরহাট থানার ভাঙড়ের কৃষ্ণমাটি গ্রামে দেহ ফেলা হয়েছে। সেই মতো সিআইডির টিম এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে বলে খবর।পোলেরহাট, জিরানগাছাতেও দেহের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এসটিএফও তল্লাশি চালাচ্ছে। এদিকে ওই সাংসদের দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলা হয়েছিল বলে দাবি করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে কোথায় সেই দেহাংশ
আমানুল্লাহ ও তার সঙ্গীরা সাংসদকে খুন করেছিল বলে অভিযোগ। দেহাংশের বড় অংশ দুজন ব্যাগে করে নিয়ে বেরিয়ে যায় বলে তদন্তে উঠে আসছে। সিসি ক্য়ামেরায় ধরা পড়েছে সেই ছবি। দেহাংশ ব্যাগে রেখে আবাসনে ফিরে খাওয়া দাওয়া চলে বলেও খবর।
কাঠমাণ্ডু হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে গিয়েছে মূল চক্রী এমনটাও নানা তথ্যে উঠে আসছে।
এদিকে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা জুবের নামে এক যুবককে আটক করেছে সিআইডি। আজিমের দেহাংশ লোপাটের পেছনে এই জুবেরর কোনও যোগ রয়েছে কি না সেটা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
এদিকে নিউ টাউনের যে আবাসনে ছিলেন এমপি সেখান থেকে ট্রলি নিয়ে বের হতে দেখা গিয়েছে। সেক্ষেত্রে অনুমান করা হচ্ছে ট্রলিতে করে সেই দেহাংশ পাচার করা হচ্ছিল।
যে ফ্ল্যাটে আজিম ছিলেন সেখানে রক্তের দাগ মিলেছে। আঙুলের ছাপ ও রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
আওয়ামি লিগের সদস্য আজিম। গত ১২মে কলকাতায় চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন তিনি। প্রথমে তিনি বরাহনগরের এক বন্ধুর বাড়িতে থাকছিলেন। এরপর দিন দুয়েকের মধ্য়ে তিনি চলে যান। এরপর ১৪ মে থেকে তার মোবাইলের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। পরিবারের সদস্যরাও বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর তারা বিষয়টি ভারত সরকারকে বলে। এরপর শুরু হয় তল্লাশি। দেহাংশের খোঁজে চলছে তল্লাশি।