মহামারি আইন দেখিয়ে বিজেপির কর্মসূচি রোখায় কলকাতা পুলিশকে আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর প্রশ্ন, নারদকাণ্ডে তৃণমূলের নেতামন্ত্রীদের গ্রেফতারির পর নিজাম প্যালেসের সামনে যে জমায়েত হয়েছিল তাতে কি মহামারি আইন লঙ্ঘিত হয়নি?
সোমবার ছিল বিজেপির কলকাতা পুরসভা ঘেরাও কর্মসূচি। মহামারি আইন দেখিয়ে প্রত্যাশিতভাবেই বিজেপিকে কর্মসূচি আয়োজনের অনুমতি দেয়নি কলকাতা পুলিশ। অনুমতি ছাড়াই সোমবার দুপুরে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউর দিক থেকে কলকাতা পুরসভার দিকে এগনো শুরু করেন বিজেপির নেতামন্ত্রীরা। কয়েক পা এগোতেই তাঁদের আটকায় পুলিশ। শুরু হয় তুমুল ধস্তাধস্তি। মিহির গোস্বামী-সহ বিজেপির ৪ বিধায়ককে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় বহু বিজেপি কর্মীকে। ধস্তাধস্তিতে ২ জন মহিলা মোর্চার কর্মী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মহামারিকালে রাজনৈতিক সমাবেশে ৫০ জনের বেশি জমায়েত নিষিদ্ধ। ফলে বিজেপির কর্মসূচির অনুমতি দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
কলকাতা পুলিশের এই তত্ত্বকে কটাক্ষ করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সোমবার বিকেলে টুইটে লেখেন, ‘গত ১৬ মে থেকে রাজ্যে কার্যত লকডাউন জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তখন দিনে করোনা সংক্রমণ ছিল প্রায় ২০,০০০। ১৭ মে নিজাম প্যালেসের সামনের দৃশ্য কলকাতা পুলিশের মহামারি আইন লাগুর জ্বলন্ত নিদর্শন? এই দ্বিচারিতা বন্ধ করুন। আইন কি শুধু বিজেপির জন্য?’ একথা লিখে ফিরহাদদের গ্রেফতারির পর নিজাম প্যালেসের মানে তৃণমূলের জমায়েতের বেশ কয়েকটি ছবি টুইট করেন তিনি। তাতে দেখা যাচ্ছে করোনাবিধি উড়িয়ে থিকথিক করছে ভিড়। অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে দেখছেন কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা। বলে রাখি, ওই দিন নিজাম প্যালেসে হাজির ছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।