ফের আরজি করে সিবিআই। তদন্ত চলছে। সেই সঙ্গেই নিহত মহিলা চিকিৎসকের পরিবারকেও আরজি করে নিয়ে গিয়ে তদন্ত। শুক্রবার দুপুরেই আরজি করে তদন্তে যায় সিবিআইয়ের টিম। মূলত ঘটনার নানা দিক সম্পর্কে খতিয়ে দেখছে সিবিআই। সেই সঙ্গেই নিহত চিকিৎসকের পরিবারের কাছ থেকে গোটা ঘটনার বিবরণ জানতে চাইছে সিবিআই।
এর আগেও বেশ কয়েকবার আরজি করে গিয়েছে সিবিআই। সেই সঙ্গেই নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গেও দফায় দফায় কথা বলেছে সিবিআই। এদিকে নির্যাতিতার পরিবারের তরফে আগেই দাবি করা হয়েছিল যে সেদিন হাসপাতাল থেকে তাদের ফোন করে বলা হয়েছিল যে তাদের মেয়ে সুইসাইড করেছে বলে মনে হচ্ছে। দ্রুত চলে আসার জন্য বলা হয়েছিল।
সেই সঙ্গেই হাসপাতালে যাওয়ার পরেও তাদের দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখা হয়েছিল বলে দাবি করেছিল পরিবার। তাদের দেহ দেখতে দেওয়া হয়নি প্রাথমিকভাবে। পরে তাদের দেহ দেখতে দেওয়া হয়। সেদিন সেমিনার রুমে কারা ছিলেন, কোথায় পড়েছিল দেহ. কোথায় ছিলেন নির্যাতিতার পরিাবর, কোথায় বসেছিলেন তারা, কোথায় ছিল তাঁদের মেয়ের দেহ সেসবই জানতে চান সিবিআই আধিকারিকরা। সেদিন কে কী বলেছিলেন সেটাও জানতে চান আধিকারিকরা। তবে এবারই প্রথম নির্যাতিতার পরিবারকে নিয়ে আরজি করে গেলেন সিবিআই আধিকারিকরা।
এর আগে নির্যাতিতার পরিবার দাবি করেছিল পুলিশ তাদের টাকা অফার করেছিল। কী বলেছিলেন তারা?
বডি পড়ে রয়েছে বাড়িতে। পুলিশের বড়কর্তারা এসেছেন আরজি করে মৃত চিকিৎসকের বাড়িতে। আর সেই বাড়িতেই টাকার অফার করেছিলেন পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক। সম্প্রতি একথা জানিয়েছিলেন নিহত চিকিৎসকরে বাবা। জানিয়েছিলেন নিহত চিকিৎসকের কাকিমা। সেই সাক্ষাৎকারের জেরে তোলপাড় গোটা রাজ্য। কতটা অমানবিক হলে তবে পুলিশ এই কাজ করতে পারে? টাকা দিয়ে কি মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছিল? প্রশ্ন তুলছে গোটা বাংলা।
এরপরই সামনে এসেছে অপর একটা ভিডিয়ো। কলকাতা পুলিশের তরফে একটি ভিডিয়ো সামনে আনা হয়েছে। যেখানে দাবি করা হচ্ছে, সেখানে দাবি করা হচ্ছে নির্যাতিতা চিকিৎসকের পরিবারকে কোনও রকম টাকার অফার করা হয়নি। তৃণমূলও সেই ভিডিয়ো নিয়ে আসরে নেমে পড়েছে। মন্ত্রী শশী পাঁজা সেই ভিডিয়ো নিয়ে নেমে পড়েন। টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়নি বলে সেই ভিডিয়োতে নির্যাতিতার পরিবারকে বলতে শোনা গিয়েছে।
তবে এখানেই বিষয়টি শেষ নয়। এবার নির্যাতিতার বাবা মায়ের দাবি জোর করে সেই ভিডিয়োতে বলানো হয়েছিল। পরিবারের দাবি ভিডিয়োতে যা বলেছি তা বলতে বাধ্য হয়েছি।
প্রসঙ্গত ডাঃ সুবর্ণ গোস্বামী দাবি করেছিলেন পুলিশ টাকার অফার করেছিল। এরপর ১১ অগস্ট পুলিশ একটি ভিডিয়ো করে রাখে যেখানে পরিবারকে বলতে শোনা যায় যে কোনওরকম টাকার অফার করেনি। প্রসঙ্গত সেই সময় তদন্তভার ছিল কলকাতা পুলিশের হাতে। তবে কি পরিবারের লোকজন যদি পরবর্তীতে এই টাকার অফার নিয়ে মুখ খুলে ফেলেন সেকারণেই আগেভাগে চাপ দিয়ে টাকার অফার হয়নি বলে ভিডিয়ো করে রেখেছিল পুলিশ?
নির্যাতিতার কাকিমা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, টাকার অফার করা হয়েছিল ৯ তারিখ। যেদিন মেয়ের দেহ ঘরে রাখা। টাকার অফার করেছিল। সুবর্ণ গোস্বামী স্যার মিডিয়াতে বলার পরে সেই রাতেই ভিডিয়োটা রেকর্ড করা হয়েছিল। ১১ তারিখ রেকর্ড করা হয়েছিল। রাতে এটা রেকর্ড করা হয়েছিল। বিস্ফোরক নির্যাতিতার কাকিমা।