তার ফাঁসির সাজার দাবিতে যখন আসমুদ্রহিমাচল উত্তাল তখনও নির্বিকার দেখিয়েছে আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষক ও খুনি সঞ্জয় রায়কে। তবে সাজা ঘোষণার আগের রাতে অবশেষে কি মৃত্যুভয় তাড়িয়ে বেড়ানো শুরু করল তাকে? প্রেসিডেন্সি জেল সূত্রে খবর, রবিবার সারা রাত জেলের কুঠুরিতে ঘুমাননি সঞ্জয়। জেলের যে আধিকারিকের সঙ্গে দেখা হয়েছে তাঁকেই জিজ্ঞাসা করেছেন ফাঁসির প্রক্রিয়া সম্পর্কে। এমনকী প্রেসিডেন্সি জেলের ফাঁসির মঞ্চ কোন দিকে তাও জানতে চেয়েছেন তিনি।
জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে জেলে সঞ্জয়ের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। তার ওপর নজরদারি বাড়িয়েছেন জেল আধিকারিকরা। জেলের কর্মীরা তো বটেই, তাকে মাঝে মাঝে গিয়ে দেখে আসছেন জেলের ডেপুটি সুপারও। নজরদারির জন্য বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। কিন্তু এসবে তেমন উৎসাহ নেই সঞ্জয়। তাঁর মৃত্যুভয় এখন তাড়ানো শুরু হয়েছে তাকে।
জেল সূত্রে খবর, রবিবার দিনভর জেলের বিভিন্ন আধিকারিকের কাছে সঞ্জয় জানতে চেয়েছে ফাঁসির সাজা হলে তার কী করণীয়। কী ভাবে ফাঁসির সাজার বিরুদ্ধে আবেদন করতে পারে সে। কতদিনের মধ্যে ফাঁসি কার্যকর হয়। এমনকী জেলে ফাঁসির মঞ্চ কোন দিকে সেই প্রশ্ন করেছে সঞ্জয়। তবে তার মানসির অবস্থার কথা চিন্তা করে কোনও প্রশ্নেরই জবাব দেননি আধিকারিকরা।
জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকাল পর্যন্ত সঞ্জয় সুস্থ ছিল। শনিবার দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তার রক্তচাপ কিছুটা বেড়েছিল। রবিবার তা স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। এবার দেখার সাজা ঘোষণার পর কী প্রতিক্রিয়া হয় তার।