করোনা ব্যাকসিনের ক্ষেত্রের কেন্দ্রীয় নীতিতে সমতা নেই বলে আগেই অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর ৫ মে থেকে রাজ্যবাসীকে বিনামূল্যে করোনা টিকা দেওয়া হবে বলেও তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়। এটা ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্কপ্রসূত কিনা তা বলা যাচ্ছে না। তবে করোনা পরিস্থিতি কেন্দ্রের গাফিলতির জন্যই খারাপ হয়েছে বলে এবার মুখ খুললেন প্রশান্ত কিশোর। শনিবার দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে টুইট খোঁচা দিয়েছেন তিনি। প্রশান্ত কিশোরের দাবি, করোনার প্রথম ঢেউয়ের মতোই দ্বিতীয় ঢেউকেও সামাল দিতে অক্ষম নরেন্দ্র মোদীর সরকার।
কী লিখেছেন প্রশান্ত কিশোর? শনিবার সকালে নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘কোভিড সংক্রমণ ঠিক মতো সামলানো যাচ্ছে না বলেই তা ছড়িয়ে পড়ছে এবং ট্র্যাজেডির ঘটনা ঘটছে। প্রথম ঢেউয়ের সময় অত্যন্ত খারাপভাবে লকডাউন করা হয়েছিল। আবেগের বশে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। যা মানুষের জীবনে করোনার থেকেও বেশি দুর্বিষহ ও ট্র্যাজেডি হয়ে উঠেছিল। দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভাইরাসের থেকেও অক্সিজেনের অভাব, ওষুধ এবং হাসপাতালে শয্যা না থাকার কারণে মানুষ বেশি মরছেন। দু’ক্ষেত্রে একটাই মিল, সরকারের অদূরদর্শিতা ও অব্যবস্থা।’
উল্লেখ্য, আগেও এই ‘কোভিড ম্যানেজমেন্ট’ নিয়ে কেন্দ্রকে তুলোধনা করতে শোনা যায় পিকে–কে। গত ২২ এপ্রিল কেন্দ্রীয় সরকারকে দিল্লি হাইকোর্টের ভর্ৎসনা নিয়ে টুইট করেছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ট্যাগ করে পিকে লিখেছিলেন, ‘স্যার, হাজার হাজার মানুষ অক্সিজেন চাইছে। তারা বলছে, আমরা শ্বাস নিতে পারছি না।’ আদালতের নির্দেশ লেখা একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করে পিকে টুইট করেছিলেন, ‘ধৈর্য ধরার জন্যও অক্সিজেনের দরকার।’ পিকে’র এই টুইট সামনে এলো সপ্তম ও অষ্টম দফার নির্বাচনের আগে। যা শাসকদলকে অক্সিজেন দেবে বলে মনে করছেন রাজনৈতির পর্যবেক্ষকরা।