ছেলে শুভ্রাংশুকে সঙ্গে নিয়ে পুরানো ঘরে ফিরে এলেন মুকুল রায়। শুক্রবার একেবারে তৃণমূল ভবনে গিয়ে ফের ঘাসফুলে ফিরলেন তিনি। উত্তরীয় পরিয়ে তাঁকে ও শুভ্রাংশুকে দলে টেনে নিলেন অভিযেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন দলে ঢুকতে চেয়ে তো একেবারে লাইন পড়ে গিয়েছে। ভোটের আগে দম বন্ধ হওয়ার অজুহাত তুলে দলে দলে নেতা মন্ত্রীরা ভিড়ে গিয়েছিলেন বিজেপিতে। এবার তাঁরাই দলে ফেরার জন্য কাকুতি মিনতি করছেন। কিন্তু তাঁদের এখনও দলে নেওয়া হয়নি। এসবের মধ্যে কার্যত সন্তর্পনে তৃণমূলে ফিরে এলেন মুকুল রায়। তবে ভোটের আগে যারা তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বিজেপিতে ভিড়েছিলেন তাদের এবার কী হবে?
প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাক্তন বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল তো ইতিমধ্যে কার্যত তৃণমূলের গুণগান গাইতে শুরু করেছেন। তবে এদিন দলত্যাগীদের নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘মুকুল কিন্তু ইলেকশনের সময় আমাদের দল বিরোধী একটি কথাও বলেননি। ইলেকশনের সময় গদ্দারি করে যারা বিজেপির হাত শক্তিশালী করতে গিয়েছে এবং গদ্দারি করতে গিয়েছে তাদের আমরা নেব না এটা দলের সিদ্ধান্ত। মনে রাখবেন, চরমপন্থী ও নরমপন্থী আছে। কিছু লোক আছে যেমন মুকুলের সঙ্গে অনেকে গিয়েছে। মুকুল চলে এসেছে তারা নিশ্চয়ই চলে আসতে চাইবে। সেটা দল সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু যারা গদ্দারি করে চরমপন্থী, অনেকবেশি দলকে নিম্নরুচির পরিচয় দিয়েছে তাদের আমরা নেব না।’ একেবারে সাফ জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
রাজনৈতিক মহলের মতে, মুকুলের সঙ্গে যারা বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন তাদের মোটামুটি নরমপন্থী বলে গণ্য় করছে দল। ভোটের ঠিক আগে যারা বিজেপিতে চলে গিয়ে দলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন তাঁদের অনেকেই চরমপন্থী। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে তাদের মধ্যেও কি কেউ নরমপন্থী আছেন? নাকি এবার বিজেপি থেকে কাদের তৃণমূলে নেওয়া হবে সেব্য়াপারে মুকুলের মতামতকেই গুরুত্ব দেবেন মমতা? প্রশ্নটা রাজনৈতিক মহলের।