গোটা দেশ জুড়ে আজ একটাই নাম আরজি কর। সেই আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার হলে মৃত্য়ু হয়েছে এক মহিলা চিকিৎসকের। বলা ভালো ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তাঁকে। গোটা দেশ জুড়ে তার প্রতিবাদ। আন্দোলনে নেমেছেন চিকিৎসকরা। চলছে কর্মবিরতি।
এবার জেনে নিন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ কে তৈরি করেছিলেন?
১৮৮৬ সালে তৈরি হয়েছিল এই আরজি কর মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতাল। কলকাতার স্বাস্থ্য পরিষেবার দিক থেকে তৈরি হয়েছিল মাইলস্টোন। এই হাসপাতালটিকে এশিয়ার প্রথম বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হিসাবেও গণ্য করা হত। এই হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন রাধা গোবিন্দ কর। ১৯১৮ সালে প্রয়াত হয়েছিলেন তিনি। তার আগে পর্যন্ত তিনি এই হাসপাতালে পরিচালন কমিটির সম্পাদক পদে ছিলেন। ১৯৫৮ সালের ১২ মে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই মেডিক্যাল কলেজটিকে অধিগ্রহণ করেছিল।
রাধা গোবিন্দ কর কে ছিলেন?
লাইভ মিন্টের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে ন্যাশানাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনে একটা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছিল ২৩ অগস্ট ১৮৫২ সালে হাওড়াতে জন্মেছিলেন। আর সেই হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতার জন্ম মাসেই নারকীয় হত্যাকাণ্ড। তিনি নিজে বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাশ করেছিলেন। পরে সেটাই হয় মেডিক্যাল কলেজ কলকাতা। সেটা তৈরি হয়েছিল ১৮৩৫ সালে। এটাও এশিয়ার প্রাচীনতম মেডিক্যাল কলেজ।
১৯১৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাথমিকভাবে এমবি কোর্সের জন্য অনুমোদন দিয়েছিল। আরজি করের মৃত্যুর পরে ১৯১৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয় ফাইনাল এমবি কোর্সের অনুমোদন দিয়েছিল। এদিকে লর্ড কারমাইকেল সেই সময় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন। সেকারণে এই কলেজের নাম দেওয়া হয়েছিল কারমাইকেল মেডিক্যাল কলেজ।
১৯৩৩ সালে আরজি করে প্রথম সাইকিয়াট্রি ওপিডি তৈরি হয়েছিল। এটা এশিয়ায় প্রথম। ১৯৪১ সাল নাগাদ গোটা দেশে নাম করে এই মেডিক্যাল কলেজ।
১৯৪৮ সালের ১২ মে এই কলেজের নামকরণ করা হয় আরজি কর মেডিক্য়াল কলেজ। আর সেই মেডিক্যাল কলেজেই এবার ভয়াবহ খুন।
এদিকে আরজি করে খুনের প্রতিবাদে বুধবার রাজ্যজুড়ে ৮ ঘণ্টা আউটডোরে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে আউটডোর বন্ধ রাখা হয়। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের ওপিডিতে উপস্থিত না হওয়ার এবং জরুরি নয় এমন দায়িত্ব পালন না করার আহ্বান জানানো হয়েছিল। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে আন্দোলনে নেমেছিলেন বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরাও।