Dark Lord in Swasthya Bhavan: পর্দার পেছনে ডার্ক লর্ড! চালান স্বাস্থ্যভবন, কে সেই প্রভাবশালী? বিস্ফোরক শুভেন্দু

পর্দার পেছন থেকে চালানো হচ্ছে রাজ্য়ের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। এক ব্যক্তির অঙ্গুলিহেলনে চলে সবটা। কে তিনি? কে সেই শক্তিমান?

আরজি কর কাণ্ডে তোলপাড় গোটা দেশ। স্বাস্থ্যভবনের সামনে এখনও অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তার মধ্য়েই একটি বিস্ফোরক টুইট করেছেন রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। টেলিগ্রাফ পত্রিকার একটি প্রতিবেদনকে উল্লেখ করে তিনি রাজ্য়ের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল দশার পেছনে গল্পটা উল্লেখ করতে চেয়েছেন।

শুভেন্দু লিখেছেন, 

দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকার একটি অন্তর্তদন্তমূলক একটি আর্টিকেল থেকে এক চিকিৎসকের কথা জানা যাচ্ছে যিনি পর্দার আড়ালে থেকে গোটা স্বাস্থ্য দফতরকে পরিচালিত করতেন। 

বাংলার স্বাস্থ্যদফতরের এক পদস্থ আধিকারিক সম্প্রতি মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালদের বলেছিলেন পরীক্ষার ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে হবে। সেই সঙ্গেই উল্লেখ করেছিলেন দফতরটা স্বাস্থ্য ভবন থেকে পরিচালিত হয় না। 

সম্প্রতি সেই মানুষটির নাম ক্রমেই প্রকাশ্যে আসছে যিনি বদলির পলিসি থেকে জিনিসপত্র কেনা সবকিছুর পেছনে ছিলেন। 

তবে তাঁর নাম এখনও পর্যন্ত উল্লেখ করা হয়নি। 

হ্যারিপটার সিরিজের মতো এই মানুষটা হলেন সুপার হেলথ মিনিস্টার। 

চার পাঁচ বছর আগে থেকে এই মানুষটি যাবতীয় কাজ করছে পেছন থেকে। এখনও তিনি কলকাঠি নাড়াচ্ছেন। 

তবে কিছুজনকে গত ৯ অগস্ট ওই সেমিনার রুমের মধ্য়ে দেখা গিয়েছিল। তাদের উপস্থিতি নিয়েও নানা প্রশ্ন রয়েছে। সেই সময় প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ।  

সিবিআই ও  ইডির গোটা বিষয়টি দেখা দরকার। তদন্তের আওতায় এবার সেই অন্তরালে থাকা মানুষটিকে আনা দরকার। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করাটা বিশেষভাবে দরকার। জানিয়েছেন শুভেন্দু। 

তবে এখানেই প্রশ্ন কে সেই ডার্ক লর্ড? কে সেই ব্যক্তি যিনি পেছন থেকে যাবতীয় বিষয়ের কলকাঠি নাড়ছেন। গোটা বাংলা সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে। কে সেই ব্যক্তি?  তিনি কোনও অর্থপেডিক সার্জেন বলে সূত্রের খবর। 

এদিকে এখনও স্বাস্থ্যভবনের সামনে আন্দোলনের চিকিৎসকররা। প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্য়েও তাঁরা আন্দোলনে। মুখ্য়মন্ত্রী ডেকেছিলেন নবান্নে। লাইভ স্ট্রিমিং চেয়েছিলেন চিকিৎসকরা। 

বৃহস্পতিবার নবান্নে পৌঁছেছিলেন জুনয়ির ডাক্তারেরা। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজি হননি লাইভ স্ট্রিমিং করতে। যা নিয়ে পরে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, ওরা বিচার চায় না চেয়ার চায়…. কেস চলছে, ডাইরেক্ট সুপ্রিম কোর্ট যেটা করতে পারে, সেটা আমরা করতে পারি না। সাবজুডিশ ব্যাপার …তিনটি ভিডিয়ো ক্যামেরা রেখেছিলাম। সঙ্গে, জুনিয়র ডাক্তারদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক বলেও উল্লেখ করেছেন মমতা। এমনকী, তাঁদের আন্দোলনে রাজনীতির যোগ আছে বলেও, অভিযোগ তোলেন তিনি।