কয়েকদিন আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন দুই ভুয়ো রেল চালক। তাতে প্রশ্ন উঠেছিল যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে। এখন প্রশ্ন উঠছে, এই দুই ভুয়ো মোটরম্যান কি আদৌ ট্রেন চালাতেন? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে বিশেষ টিম গড়ে তোলা হয়েছে। যাঁরা গোটা বি্যয়টাই নজরদারি করছেন বলে খবর৷ এমনকী হাওড়া–শিয়ালদহ ডিভিশনের সমস্ত ক্রু–লবির সিসি ক্যামেরা ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গত দু’মাসের ফুটেজ চেক করতে শুরু করেছে এই বিশেষ টিম। চালকও ভুয়ো হতে পারে এবং তারা ট্রেন চালাচ্ছেন ভাবতেও পারছেন না রেলের আধিকারিকরা।
এই পরিস্থিতিতে রেল সূত্রে খবর, ধৃত দু’জন শিয়ালদহ ডিভিশনের এক লোকো পাইলটের কাছে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন। তাতে আরও চমকে গিয়েছেন রেল কর্তারা। এখন তাঁরা জানতে চাইছেন, কে সেই লোকো পাইলট? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চলছে জেরা। ইতিমধ্যেই দুই ভুয়ো ট্রেন চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ তাঁদেরই জেরা করা চলছে।
এদিকে পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিশনে রেলের আইডি কার্ড নিয়েই রেলের চাকরি করছিলেন বলে জানিয়েছেন দুই ভুয়ো চালক৷ শিয়ালদহ ডিভিশনের আইডি কার্ড নিয়ে তামিলনাড়ুর যাওয়ার সময় রেলের পাস দেখিয়ে কাটা টিকিট দেখে সন্দেহ হয় টিকিট পরীক্ষকের৷ রেল পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া নাম সাহেল সিং ও ইসরাফিল সিং৷
রেল সূত্রে খবর, অভিযুক্তরা নিজেদের নাম ভাঁড়িয়ে চাকরি করছিল৷ এদের আসল নাম গোপন করা হয়েছে| তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া কাগজপত্রও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে৷ সেখানে আই কার্ড ও নিয়োগপত্রে দেখা গিয়েছে, এরা দু’জনই পূর্ব রেলের শিয়ালদহ শাখায় ২০১৬ সালে চাকরিতে যোগ দেন৷ যদিও রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, এই নিয়োগপত্রও ভুয়ো৷ তাহলে কীভাবে পাঁচ বছর ধরে এই ভুয়ো ট্রেন চালক চাকরি করল?
রেলের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নিয়ে কলকাতায় এসে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কে বা কারা এই জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যাত্রীদের প্রশ্ন, রেলে এমন ভুয়ো চালক আরও নেই তো? রেলের চাকরির নামে প্রতারণার জাল কতদূর বিস্তৃত তা ভেবে কপালে চোখ কপালে উঠেছে রেল কর্তাদের৷ এই ঘটনা নিয়ে দক্ষিণ রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক জানান, ‘জেরা করে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তবে এরা যাত্রীবাহী ট্রেন চালাননি।’