একেবারে কাছ থেকে গুলি করে খুন করা হয়েছে মালদার তৃণমূল নেতা দুলাল সরকারকে। এদিকে বিগত দিনে তাঁর নিরাপত্তারক্ষী তোলা হয়েছিল। আর তারপরে খুন হলেন তিনি। খোদ মুখ্য়মন্ত্রী এই রক্ষী তোলা নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। কিন্তু এবার প্রশ্ন কার নির্দেশে এই রক্ষী তোলা হয়েছিল?
সেই প্রশ্নের উত্তরে নানা কথা ঘুরছে মালদায়। তবে সেই প্রসঙ্গে এবার বড় ইঙ্গিত দিয়েছেন ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। তিনি প্রশ্ন করেছেন, হু ইজ সি?
কার্যত কোনও মহিলার দিকে আঙুল তুলছেন তিনি। কে সেই প্রভাবশালী? তাঁর নির্দেশেই কি পুলিশ রক্ষী তুলে নিয়েছিল?
এবার শুভেন্দু অধিকারী কার্যত বোমা ফাটিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এলাকা দখলের জন্য এসব হচ্ছে। নিরাপত্তা তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ক্যাবিনেটের এক রাষ্ট্রমন্ত্রী। তার ফোনে এসপি তুলেছেন। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ক্যাবিনেটের এক রাষ্ট্রমন্ত্রী এসপিকে ফোন করে দুলাল সরকারের রক্ষী তোলার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু। এরা নিজেরা গোলাগুলি করবে, আমার মাথায় লাগবে না আপনার মাথায় লাগবে বুঝতে পারছি না। অন্য়দিকে তিনি বলেন,ফিরহাদ হাকিমকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করে এনআইএর হাতে তুলে দেওয়া দরকার।
কে সেই মন্ত্রী? যাঁর দিকে আঙুল তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। মালদার রাজনীতিতে জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বাবলা সরকারের রক্ষী তুললে তাঁর কী সুবিধা হত?
এদিকে অনেকেরই ধারণা রক্ষী থাকলে হয়তো এভাবে খুন করতে সাহস পেত না দুষ্কৃতীরা। বাবলা সরকারের স্ত্রীর দাবি, রক্ষী থাকলে হয়তো তাঁরা বুদ্ধি করে বাঁচিয়ে দিতেন।
বাবলা সরকারের স্ত্রী চৈতালি ঘোষ সরকার আরও জানিয়েছেন, আমি একেবারেই সন্তুষ্ট নই( যতটা তদন্ত এগিয়েছে)। শেষটা দেখতে চাইছি। আরও কারা কারা আছে। এটা খালি এই যারা সামনে এসেছে না আরও এর সঙ্গে কেউ আছে। ঘটনার যে নৃশংসতা, আমি রাজনীতি করা মেয়ে, আমি অ্যাডভোকেট। এতে আরও মানুষ যুক্ত আছে। ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে কি হচ্ছে না বলব না। তবে দল, পুলিশ প্রশাসন তাদের প্রতি বিশ্বাস রয়েছে বলেই বলছি। এক এক করে ঘটনা প্রকাশ হচ্ছে। অপেক্ষায় আছি। আমি মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করব। স্মরণসভা রয়েছে। রাজ্যসভাপতি আসবেন।আমার যা অভিযোগ পুলিশ জিজ্ঞাসা করলে বলব, নেত্রীকে বলব। ক্য়ামেরার সামনে বলব।
তিনি সংবাদমাধ্যমে আরও জানিয়েছেন, আরও মাথা রয়েছে।