১৫ই মে, ২০২১। অন্য়ান্য দিনের মতোই রুটিন টহল দিতে বেরিয়েছিল লুধিয়ানা পুলিশ। আচমকাই একটি বাজারের কাছে একটি সন্দেহজনক সুটকেস বদলের ঘটনা দেখতে পান পুলিশ কর্মীরা। এরপরই তাদের চ্যালেঞ্জ করেন পুলিশ কর্মী আধিকারিকরা। এদিকে গাড়ির সামনে বসে থাকা কুখ্য়াত দুষ্কৃতী জয়পাল সিং ভুল্লারকে দেখে চিনতে পারেন এক পুলিশ আধিকারিক। তবে কিছু বুঝে ওঠার আগেই সেদিন গুলি চালিয়েছিল জয়পাল। অভিযোগ এমনটাই। গুলিতে মৃত্যু হয় লুধিয়ানা পুলিশের এএসআই ভগবান সিং ও দিলেন্দর জিৎ সিংয়ের। এরপরই এলাকা থেকে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা। এই ঘটনায় পরবর্তীতে অভিযুক্ত দুজন ধরা পড়লেও অধরা ছিল জয়পাল। পঞ্জাব পুলিশ খুঁজছিল তাদের ।সেই জয়পালই ঘাঁটি গেড়েছিল কলকাতার নিউটাউনের অভিজাত আবাসনে।
সূত্রের খবর, সাপুরজি আবাসনে ডেরা নিয়েছিল জয়পাল সিং ভুল্লা ও জসপ্রিত সিং। এদিন দুপুরে ফ্ল্যাটের দরজার ধাক্কা দেয় এসটিএফ। এরপর পুলিশ হানা দিয়েছে বুঝতে পেরে শুরু হয় গুলির লড়াই। বালিশের তলা থেকে পিস্তল বের করার চেষ্টা করে এক দুষ্কৃতী। অপরজন এসটিএফের এক আধিকারিককে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে । কিন্তু তাতে বিশেষ কাজ হয়নি। এসটিএফের এনকাউন্টারে মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে তারা। ওই ঘরে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ সাত লক্ষ টাকা, ৫টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৮৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে।
তবে কে এই জয়পাল। পুলিশ সূত্রে খবর অন্তত ৪০টি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। খুন, এটিএম লুঠ, হাইওয়ে ডাকাতি, গ্যাংওয়ার, পুলিশ খুন, হেরোইন পাচার সহ নানা অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে। জয়পালের বাবা পুলিশের চাকরি করতেন। ২০০৩ সালে লুধিয়ানায় পঞ্চাব সরকার পরিচালিত স্পোর্টস ট্রেনিং সেন্টারে হ্যামার থ্রোয়ার হিসাবে ভর্তি হয়েছিল সে। সেখানে অমনদীপ সিং ওরফে হ্যাপি নামে এক পুরানো বন্ধুর সঙ্গে তার দেখা হয়। সেও পুলিশের ছেলে। প্রথমেই এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে অপরাধ জগতে হাত পাকায় সে। এরপর থেকেই শুরু হয় একের পর অপরাধ।Punjab police organized crime control unit এর হিসাবে পঞ্জাবের ৩১জন মোস্ট ওয়ান্টেড ক্রিমিনালের তালিকায় নাম ছিল তার।