কে হবেন বিরোধী দলনেতা? তা নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়ছে। তারইমধ্যে শনিবার বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিং একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, বিধানসভায় গেরুয়া শিবিরের দলনেতা বেছে নেওয়ার জন্য রবিশংকর প্রসাদ এবং দলের অন্যতম সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দ্র যাদবকে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক হিসেবে নিযুক্ত করেছে বিজেপির সংসদীয় কমিটি।
এবার বাংলা জয়ের স্বপ্ন নিয়ে বিজেপি প্রচার শুরু করলেও তা পূরণ হয়নি। তবে একলাফে আসন সংখ্যা তিন থেকে বেড়ে ৭৭-তে পৌঁছানোয় বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে টক্কর দিতে ওজনদার কোনও বিধায়ককে বিরোধী দলনেতা করতে চায় বিজেপি। সেইমতো বিরোধী নেতা হওয়ার দৌড়ে প্রবলভাবে উঠে আসছে মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীর নাম। মুকুল দীর্ঘদিন রাজনীতিতে থাকলেও সংসদীয় রাজনীতিতে এই প্রথম পা রেখেছেন। কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে জিতে বিধায়ক হয়েছেন। বিরোধী দলনেতা হিসেবে তাঁর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপির একটি অংশ। অন্যদিকে, শুভেন্দুও নেহাত পিছিয়ে নেই। নন্দীগ্রামে খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে ‘জায়ান্ট কিলার’-এর তকমা পেয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, দুই তৃণমূলত্যাগী নেতার মধ্যে ধারেভারে শুভেন্দু কিছুটা এগিয়ে আছেন। এমনিতেই স্বপ্নপূরণ না হওয়ার মধ্যেও মমতাকে হারানোয় বিজেপির খাতায় শুভেন্দুর ‘নম্বর’ অনেক বেশি পড়েছে। সেইসঙ্গে মুকুল কোনওকালেই বাগ্মী হিসেবে পরিচিত নন। বরং দলের সংগঠন তৈরির ক্ষেত্রে বেশি দক্ষ। সেটা মুকুলের ক্ষেত্রে যেমন ‘মাইনাস পয়েন্ট’ হতে পারে, তেমনই শুভেন্দুর ক্ষেত্রে ‘প্লাস পয়েন্ট’ হতে উঠতে পারে।
যদিও বিজেপির একটি অংশের মতে, প্রাথমিকভাবে মুকুল ও শুভেন্দুর পাল্লা ভারী থাকলেও তৃণমূলত্যাগী নেতাদের হাতে সম্ভবত গুরুদায়িত্ব দিতে চাইবে না সংঘ। পরিবর্তে সংঘ ঘনিষ্ঠ কোনও ‘আদি’ বিজেপি নেতাকে বিরোধী দলনেতা করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে দলের ‘বিক্ষুব্ধ’ পুরনো কর্মীদেরও বার্তা দেওয়া যাবে।