রাজ্য সরকারের আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে চেয়েছিল রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি। কিন্তু মূলত সরকারি অনুমতি না মেলার জন্য তারা এই তদন্ত করতে পারছে না বলে আদালতে জানিয়ে দিয়েছে। তবে আদালতের তরফে জানতে চাওয়া হয়েছে কেন সরকার এক্ষেত্রে অনুমতি দিচ্ছে না? এজন্য় এক সপ্তাহের মতো সময় দেওয়া হয়েছে। সেই সময়ের মধ্য়ে রাজ্যকে জানানোর জন্য় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন তারা তদন্তকারী সংস্থাকে এই তদন্ত করার জন্য় অনুমতি দিচ্ছে না?
আগামী সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। তার মধ্যেই রাজ্য সরকারকে এই প্রশ্নের জবাব দিতে হবে।
ঘটনাটি ঠিক কী হয়েছে?
সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে উঠেছিল মুর্শিদাবাদের গোথা এআর হাইস্কুলের নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলার প্রসঙ্গ। আর সেই মামলা অনুসারে জানা গিয়েছে যে এই ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি। সেই মামলার কাজ কতটা এগিয়েছে তা জানতে চায় আদালত। সেই সময় আদালতের তরফে বলা হয়েছে একাধিক ভুয়ো শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপরই মুর্শিদাবাদের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইনসপেক্টর তথা স্কুল পরিদর্শকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে সিআইডি। এরপরই সিআইডি জানিয়ে দেয় যে ওই স্কুল পরিদর্শকের ভূমিকা খতিয়ে দেখা দরকার।
এবার প্রশ্ন সেই সরকারি আধিকারিককে যদি জেরা করার প্রয়োজন থাকে তবে সেটা করতে আপত্তি কোথায়?
আর এখানেই মূল বিষয়টি লুকিয়ে রয়েছে। সিআইডি জানিয়েছে, ওই সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্ত করার আগে সরকারের অনুমতি দরকার। সেই মতো সরকারের অনুমতি চেয়েছিল তারা। তবে সিআইডির দাবি তারা সেই চিঠির জবাব পায়নি।
এখানে আবার নতুন করে প্রশ্ন কেন সরকার অনুমতি দিল না? সিআইডি তো সরকারেরই এজেন্সি। সেক্ষেত্রে কেন সরকারের এজেন্সিকে অনুমতি দেওয়া হল না?
এদিকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, রাজ্য কেন অনুমতি দিচ্ছে না? সেই প্রশ্নের উত্তরে রাজ্য়ের আইনজীবী জানিয়ে দেন তাঁর কিছু জানা নেই। আদালতের প্রশ্ন সরকারি অনুমোদন ছাড়া এই তদন্ত করা কি যাবে না?