পরিচিত কোনও মুখ দেখেই কি ভবানীপুরে দম্পতি দরজা খুলেছিলেন, প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীদের কাছে সেই প্রশ্নই উঠে আসছে। কিন্তু কেন ওই দম্পতিকে খুন করা হল, তা এখনও স্পষ্ট নয় তদন্তকারীদের কাছে। লুঠের উদ্দেশ্যেই কি খুন করা হয়েছে নাকি নজর ঘোরানোর জন্যই লুঠের তত্ত্বকে খাঁড়া করা হচ্ছে, সেই বিষয়টি এখন খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী অফিসাররা।
পুলিশ ইতিমধ্যে বাড়ির আশেপাশে রাস্তায় থাকা সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখেছে। সেখান থেকে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের যাতায়াতের ছবি ধরা পড়েছে। আশেপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিন্তু ব্যবসায়ী অশোক শাহের বাড়ির সামনে তিনটি সিসি ক্যামেরা বিকল হয়ে পড়ে আছে। জানা গিয়েছে, ঘর থেকে বেশ কিছু মূল্যবান সামগ্রী উধাও হয়ে গিয়েছে। গুজরাতি দম্পতি অশোক ও রেশমি শাহের দেহে একাধিক ক্ষতের চিহ্ন মিলেছে। রেশমি শাহের দেহে বুলেটের ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি অশোক শাহের দেহে ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে।
জানা গিয়েছে, অশোক ও রেশমি শাহের মেজো মেয়ে সোমবার বিকেলের দিকে বাবাকে বার বার ফোন করেন। কিন্তু বাবাকে ফোনে পাননি। সন্দেহ হতেই বাড়িতে এসে দেখেন বাড়ির সামনের দরজা খোলা রয়েছে। এরপর ঘরের মধ্যে ঢুকে দেখেন, মা ও বাবা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। মর্মান্তিক এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। ভবানীপুরের মতো জায়গায় এই ধরনের ঘটনায় এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ জানতে পেরেছে, আগে মেহতা বিল্ডিংয়ে অশোক শাহের একটি স্টোভের দোকান ছিল। পরে শেয়ারের কারবার শুরু করেন।