এবারের বাজেটে বাংলা কী পেল? সেই প্রশ্নটা বার বার করে উঠছে। তবে সরকার গঠনে যে দুই রাজ্য সহায়তা করেছিল সেই দুই রাজ্য়ের জন্য হাত একেবারে উপুড় করে দিয়েছেন মোদী। বিরোধীরা অনেকেই বলছেন কুর্সি বাঁচাও বাজেট।
এদিকে এই বাজেটে বাংলাকে বঞ্চনা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বাংলার তৃণমূল নেতৃত্ব। এনিয়ে মুখ খুলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি বলেন, ভোটের জন্য বাংলার দরজায় কড়া নাড়লেও পরে বাংলার কথা ভুলে যায় কেন্দ্রীয় সরকার।
বাংলার প্রাপ্তি কী হল তা নিয়ে প্রশ্নটা বার বার করে উঠছে। মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, ওরা দার্জিলিং থেকে ভোট নেয়। নির্বাচনের সময় বড় বড় কথা বলে। কিন্তু ভোট মিটলেই দার্জিলিং, কালিম্পং, মিরিক, কার্শিয়াংকে ভুলে যায়। এটাই ওদের প্রবৃত্তি। ওদের উচিত দার্জিলিংয়ের ভাই বোনদের কথা মনে রাখা।
সেই সঙ্গেই মমতা জানিয়ে দেন, অন্যরা কেউ কিছু পেলে আমার আপত্তি নেই। সিকিমের প্রাপ্তি হয়েছে, কিন্তু বাংলার দার্জিলিংকে বঞ্চিত রাখা মেনে নিতে পারব না। সাফ কথা বাংলার মুখ্য়মন্ত্রীর।
দার্জিলিংয়ে এবারও জিতেছে বিজেপি। কিন্তু তারপরেও দার্জিলিংয়ের জন্য কেন বরাদ্দ নেই, কার্যত সেদিকেই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
এদিকে বাংলার বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য় এই বাজেটের গুণগান করছেন। কিন্তু বাস্তবে পাশের রাজ্য বিহারের জন্য এত বরাদ্দ কিন্তু বাংলার জন্য কেন যথাযথ বরাদ্দ নেই সেই প্রশ্নটা উঠছে।
বাজেট নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি জানিয়েছেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী কদিন আগে যে কথা বলেছিলেন, আজকের বাজেটে সেটাই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।’ অর্থাৎ শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘সব কা সাথ, সব কা বিকাশ বলার দরকার নেই। বলতে হবে, জো হমারি সাথ, হম উনকে সাথ।’
অভিষেক আরও জানিয়েছেন, ‘সরকার বাঁচাতে বিহার এবং অন্ধ্রপ্রদেশকে বিশেষ প্যাকেজ দেওয়া হয়েছে। যারা সঙ্গে রয়েছে, তাদের জন্যই কেবল বরাদ্দ। কোনও রাজ্যের বরাদ্দের নিয়ে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু কেন বাংলাকে বারবার বঞ্চিত করা হবে?’
অভিষেক বলেন, ‘বিজেপি জমানায় বাংলা ক্রমাগত বঞ্চিত এবং নিপীড়িত হয়েছে। এবার বাংলা থেকে ১২ জন সাংসদ পেয়েছে বিজেপি। কিন্তু তারপরও বাংলার জন্য কোনও বরাদ্দ নেই। সরকার টিকিয়ে রাখতে শরিকদের উপঢৌকন দেওয়া হয়েছে।’
তবে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৪-২৫ বিকশিত ভারতের জার্নির পথে একটা প্রচেষ্টা। এই টার্গেট পূরণ করার ক্ষেত্রে একটা উদ্যোগ। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ৯টি ক্ষেত্রে ফোকাস করেছেন। এর জেরে প্রচুর সুযোগ তৈরি হবে।