বৃহস্পতিবার রাতে দুষ্কৃতী হামলার মুখে আরজি কর হাসপাতাল থেকে কেন পালিয়ে গেল পুলিশ? এর জবাব চেয়ে বৃহস্পতিবার হাসপাতালের অধ্যক্ষ সুহৃতা পালকে ঘেরাও করলেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা। তাদের দাবি, গত রাতে কেন এই তাণ্ডব চলেছে তা ১ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে হবে প্রশাসনকে।
আরও পড়ুন - চিকিৎসক খুনে অভিযুক্তের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে অস্বীকার চিকিৎসকদের, বিপাকে CBI
পড়তে থাকুন - 'সন্তানের জন্ম দেওয়ার ১৪ দিনের মাথায় স্ত্রীর পেটে লাথি মেরেছিলেন সন্দীপ ঘোষ'
বৃহস্পতিবার আরজি কর হাসপাতালে পৌঁছতেই সুপারকে ঘেরাও করেন ছাত্রছাত্রীরা। কী ভাবে দুষ্কৃতীরা হাসপাতালের ভিতরে ঢুকল তা পুলিশকে জবাবদিহি করতে হবে বলে দাবি জানান তাঁরা। ছাত্রছাত্রীদের দাবি, এক ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ সুপার বিনীত গোয়েল সঙ্গে বৈঠক করে কেন নিরাপত্তায় গলদ হল তা জানাতে হবে অধ্যক্ষকে। সঙ্গে কতদিনের মধ্যে হাসপাতালের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে তাও জানাতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
হাসপাতালের নাক – কান – গলা বিভাগের অধ্যাপক দেবব্রত দাস বলেন, যে ভাবে গত রাতে হামলা হয়েছে তা অকল্পনীয়। হামলাকারীদের দেখেই পুলিশ প্রথমে পালিয়েছে। আমাদের কাছে তারা নিরাপত্তা চাইছে। হাসপাতালের ভিতরে সশস্ত্র পুলিশ থাকলেও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গেল না কেন তার জবাব পুলিশ সুপারকে দিতে হবে। উনি ঘটনার পর এসে সংবাদমাধ্যমের ওপর মেজাজ দেখাচ্ছেন। সংবাদমাধ্যম গুজব ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন। কিন্তু সব কিছু জেনেও উনি উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা কেন করেননি তা ওনাকে জানাতে হবে। পুলিশ যদি প্রথমেই রুখে দাঁড়াত তাহলে এই তাণ্ডব রোখা যেত। কিন্তু তা না করে, সব শেষ হয়ে যাওয়ার পর তারা মাঠে নেমেছে। আমি নিজেই যেখানে সুরক্ষিত নই সেখানে সিস্টার দিদিদের, আমার ছোট ভাই-বোনদের ডিউটি করতে বলব কী করে?
আরও পড়ুন - 'পাওয়ারফুল' সন্দীপ, মদ খাইয়ে হাতে রাখতেন জুনিয়রদের, বিস্ফোরক এক্স ডেপুটি সুপার
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হাসপাতালে ঘেরাও হয়ে রয়েছেন অধ্যক্ষ সুহৃতা পাল ও মেডিক্যাল সুপার বুলবুল মুখোপাধ্যায়।