মুখ্যমন্ত্রীর ধমকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে পাঠানো তৃণমূলের শো - কজের জবাব দিলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুঁ কবির। আর শো - কজ করে দলের সিদ্ধান্ত নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন তিনি। শো - কজের জবাবে হুমায়ুঁ লিখেছেন, অভিষেককে রাজ্য মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তোলায় তাঁকে শো - কজ করা হলেও তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যকে নিয়ে মন্তব্যের জন্য কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কেন কোনও পদক্ষেপ করল না দল? কল্যাণ কলকাতার নেতা বলে?
শুক্রবার তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সদস্য শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে শো - কজের লিখিত জবাব দেন হুমায়ুঁ। সূত্রের খবর তাতে তিনি লিখেছেন, তিনি শুধুমাত্র অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্য মন্ত্রিসভার অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তুলেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভার লাঘব করতে বলেছেন। মমতার নেতৃত্ব নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলেননি তিনি। এটা কী ভাবে দলবিরোধী কাজ হতে পারে?
এর পরই হুমায়ুঁ লিখেছেন, কয়েকদিন আগে আরজি কর কাণ্ড নিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যকে প্রকাশ্যে আক্রমণ করেছিলেন দলের লোকসভার সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কার হাত মাথায় থাকায় তৃণাঙ্কুরকে পদ থেকে অপসারণ করা হয় না সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। তাহলে কেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে শো - কজ করল না দল? উলটে তাঁকে সংসদে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সদস্য করে দেওয়া হয়েছে। কল্যাণ কলকাতার নেতা বলেই কি তাঁর ব্যাপারে নিরব দল? হুমায়ুঁ জেলার নেতা হওয়ায় তাঁকে পড়তে হল দলের খাঁড়ার নীচে? হুমায়ুঁনের জবাব নিতে তৃণমূলের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে হুমায়ুঁর প্রশ্ন যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত। তবে কলকাতার নেতা হওয়ায় কল্যাণ পার পেয়েছেন বলে তিনি যে কারণের উল্লেখ করেছেন তা সঠিক নয়। আসলে কলকাতার নেতা বলে নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়পন্থী বলে কল্যাণের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি দল। উলটে তাঁকে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সদস্য করে বার্তা দিয়েছেন মমতা। হুমায়ুঁ অভিষেকপন্থী হওয়ায় তাঁকে পড়তে হয়েছে শো কজের মুখে।