ভুয়ো ডিগ্রি ব্যবহারের অভিযোগ তুলে জুনিয়র চিকিৎসক আসফাকুল্লা নাইয়ার বিরুদ্ধে পুলিশি তৎপরতাকে তীব্র ভর্ৎসনা করল হাইকোর্ট। পুলিশি তৎপরতার বিরুদ্ধে আসফাকউল্লাহের আবেদনের শুনানিতে মঙ্গলবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ রাজ্যকে একের পর এক প্রশ্ন করেন। যার কোনওটারই উত্তর ছিল না রাজ্যের আইনজীবীর কাছে। এর পর আগামীকাল কেস ডায়েরিসহ রাজ্যের আইনজীবীকে আদালতে আসতে বলেন বিচারপতি।
সম্প্রতি আরজি করকাণ্ডে প্রতিবাদী চিকিৎসক আসফাকউল্লাহ নাইয়ার বিরুদ্ধে ভুয়ো ডিগ্রি ব্যবহারের অভিযোগ তোলে তৃণমূল পোষিত জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন। সেই অভিযোগ পেয়ে আসফাকউল্লাহের বিরুদ্ধে FIR করে পুলিশ। এই অভিযোগের তদন্তে গত সপ্তাহে আসফাকউল্লাহের কাকদ্বীপের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। প্রায় ৪০ জন পুলিশকর্মী চিকিৎসকের বাড়িতে তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ। হেনস্থা করা হয় চিকিৎসকের পরিবারের সদস্যদের। যদিও তখন আরজি কর হাসপাতালে ছিলেন চিকিৎসক নাইয়া। তিনি ফেসবুক লাইভে ঘটনার কথা জানিয়ে পুলিশকে চ্যালেঞ্জ করেন, ক্ষমতা থাকলে আরজি করের হস্টেলে এসে আমাকে জেরা করুন। বাড়ির লোককে হেনস্থা করবেন না।
এর পর ওই ঘটনায় হাজিরা দেওয়ার জন্য চিকিৎসক নাইয়াকে তলব করে পুলিশ। পালটা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন চিকিৎসক নাইয়া।
মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে আসফাকউল্লার আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘যিনি অভিযোগ করেছেন তাঁর সঙ্গে আসফাকউল্লাহের কোনও সম্পর্ক নেই। ডাক্তার নাইয়ার বিরুদ্ধে কেউ ভুল চিকিৎসার অভিযোগও দায়ের করেনি। তাহলে তদন্ত হচ্ছে কীসের ভিত্তিতে?’ এর পর বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘প্রেসক্রিপশন কোথায়? সেখানে কি ডাক্তারবাবু এমন কোনও যোগ্যতার উল্লেখ করেছেন যা তার নেই?’ বিচারপতি আরও বলেন, ‘কত জায়গায় তো ভুয়ো চিকিৎসার কত অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করে না। এক্ষেত্রে পুলিশের এত তৎপরতা কেন? কেন পর্যাপ্ত নথি না জোগাড় করে ও প্রাথমিক তদন্ত না করে FIR রুজু করেছে পুলিশ।’
বিচারপতি জানিয়েছেন বুধবার সকালে এই মামলার কেস ডায়েরিসহ আদালতে হাজির হতে হবে সরকারি আইনজীবীকে।
আসফাকউল্লাহের বিরুদ্ধে অভিযোগ, একটি স্বাস্থ্য শিবিরের লিফলেটে তার যোগ্যতার জায়গায় MS ENT লেখা ছিল। যদিও MS ENT এখনও পাশ করেননি তিনি।