দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক পথ চলার সঙ্গী। কার্যত হাসতে হাসতে জয় হাসিল করেছেন যে ফিরহাদ হাকিম, তাঁকেই ফের মেয়র পদে বসালেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোভন চট্টোপাধ্যায় মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে মেয়র পদে বসানো হয়েছিল ববি হাকিমকে। তখন এনিয়ে কম আপত্তি করেননি বিরোধীরা। কিন্তু সেই ঐতিহ্যপূর্ণ মেয়রের পদে ফের বসানো হল ফিরহাদ হাকিমকেই। কিন্তু কেন ববির উপরেই ভরসা রাখলেন মমতা? এই প্রশ্নটাই বড় করে উঠছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে এবার ভোটের গণনা চলাকালীন যখন বিপুল ভোটে জয়ের পথে এগোচ্ছে তৃণমূল তখন সেই বিশ্বস্ত রাজনৈতিক সঙ্গী ফিরহাদ হাকিমকেই ডেকে পাঠিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। হয়তো সেদিনই নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল ফিরহাদের ভাগ্য। জোড়াফুলের রাজনীতিতে ‘মিস্টার ডিপেন্ডবল’ বলে পরিচিত ফিরহাদ। মমতার নির্দেশে টক টু মেয়র অনুষ্ঠানেও সাড়া ফেলেছেন ফিরহাদ। অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন মমতার নির্দেশ।
আর লক্ষ্মীবারেই কলকাতার মহানাগরিকের পদে ফের ফিরহাদ হাকিমের নাম ঘোষণা করা হল। সব মিলিয়ে বিশ্বস্ততার পুরষ্কার পেলেন ফিরহাদ। এমনটাই মনে করছেন অনেকে। পাশাপাশি সংখ্য়ালঘু কাউকে মেয়র করা নিয়ে বিজেপির যে আপত্তি ছিল তাতেও ফের যোগ্য জবাব দিলেন মমতা। এদিন নাম ঘোষণা হওয়ার পরে মমতা দুবার বলেন, কোনও আপত্তি আছে?
আর কলকাতার মেয়র হিসাবে ফের মনোনীত হওয়ার পরে ফিরহাদ হাকিম বলেন, জীবন যদি যায় যাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্বাসকে ভঙ্গ হতে দেব না। তাঁর আদর্শ, বিশ্বাস নিয়েই এতদিন পুরবোর্ড চলেছে। আগামীতেও চলবে। আমৃত্যু ওনার বিশ্বাসের মর্যাদা দিয়ে উনি যে দায়িত্ব দিয়েছে তা পালন করে যাব।