উপ নির্বাচনের প্রসঙ্গে বাংলাদেশের চট্টোগ্রামে হিন্দুদের ওপরে হামলার ঘটনার উল্লেখ করায় বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে সেন্সর করার দাবি তুলল তৃণমূল। সোমবার সকালে কলকাতায় রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে গিয়ে এই দাবি জানান তৃণমূলের ৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল। সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে এসে তৃণমূলের এক মুখপাত্র বলেন, ‘৪০ মিনিটের ভাষণ সমাজের পক্ষে, আইনশৃঙ্খলার পক্ষে, সুস্থ সম্প্রীতির পক্ষে ক্ষতিকারক। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে আমরা আবেদন জানাচ্ছি এখানে সেন্সর করতে হবে।’
আরও পড়ুন - মত্ত অবস্থায় ঘরে ঢুকে প্রতিবেশীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ, খাস কলকাতায় গ্রেফতার সিভিক
পড়তে থাকুন - আরজি কর হাসপাতালে এবার নার্সিং ছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা, তুলকালাম কাণ্ড ঘটল
রাজ্যে ৬ বিধানসভা উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ ১৩ নভেম্বর। সোমবার শেষ হচ্ছে তার প্রচার। উপ নির্বাচনের প্রচারে হিন্দু ভোটকে সুসংহত করায় জোর দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বাংলাদেশের চট্টোগ্রামে হিন্দু নির্যাতনের সাম্প্রতিক ঘটনাও বারবার উঠে এসেছে তাঁর মুখে। শুভেন্দুর এই ভাষণ ভয়ঙ্কর আপত্তিজনক বলে দাবি করে তাঁকে সেন্সর করার দাবি তুলেছে তৃণমূল।
এদিন তৃণমূলের মুখপাত্র বলেন, ‘শনিবার রাজ্যে বিধানসভা উপ নির্বাচনের প্রচারে ভয়ঙ্কর আপত্তিজনক বক্তব্য রেখেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এবং এই বিজেপি নেতৃত্ব এসব করে বেড়াচ্ছে। তারা হেট স্পিচ দিচ্ছেন, সাম্প্রদায়িক বক্তব্য রাখছেন। নির্বাচন কমিশনের তৈরি করা বিধিনিয়ম লঙ্ঘন করেছেন, সেটাও অত্যন্ত ভয়ঙ্কর ভাবে। এক, তার সেই বক্তব্যে তিনি পুরোদস্তুর সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা, প্ররোচনা সৃষ্টিকারী বক্তব্য রেখেছেন। দুই, বাংলাদেশ, যেটি প্রতিবেশী একটি রাষ্ট্র। যার আভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আমাদের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় এভাবে কথা বলা যায় না। সেখানে কী হয়েছে বা কী হয়নি, তার নির্দিষ্ট তথ্য আমাদের কাছে নেই। কিন্তু বাংলাদেশ সম্পর্কে বাংলাদেশ সম্পর্কে অত্যন্ত উত্তেজনাকর কথা ও কিছু বক্তব্য রেখে তিনি সাম্প্রদায়িক সাম্প্রদায়িক ভাদাভেদ, মেরুকরণ ও সাম্প্রদায়িক প্রতিহিংসার উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করেছেন। এটা কোনও অবস্থায় চলতে দেওয়া যায় না।'
আরও পড়ুন - নানুরের চণ্ডীদাস কলেজে চটুল নাচ ছাত্রছাত্রীদের, উড়ছে টাকা, নবীনবরণ ঘিরে বিতর্ক
তিনি জানিয়েছেন, 'গোটা ভাষণের পেনড্রাইভ স্মারকলিপির সঙ্গে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে দেওয়া হয়েছে। ৪০ মিনিটের ভাষণ সমাজের পক্ষে, আইনশৃঙ্খলার পক্ষে, সুস্থ সম্প্রীতির পক্ষে ক্ষতিকারক। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে আমরা আবেদন জানাচ্ছি এখানে সেন্সর করতে হবে। কারণ আজকে উপ নির্বাচনের প্রচার শেষ হচ্ছে। সঙ্গে সম্ভাব্য সব রকম আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।’