হাসপাতাল কেন্দ্রের অধীনে থাকার জন্যই কি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ওড়িশার ভুবনেশ্বরে নিয়ে যাওয়া হল। সোমবার এক অনুষ্ঠান থেকে এই প্রশ্নই তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তিনি রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করে জানান, ‘আমার খুব লজ্জা লাগছে, বাংলায় এত ভালো হাসপাতাল থাকতেও পার্থকে ভুবনেশ্বর এইমসে নিয়ে যাওয়া হল।’
এদিন নজরুল মঞ্চে ‘বঙ্গবিভূষণ’ ও ‘বঙ্গভূষণ’ প্রদান অনুষ্ঠানে এসে অবধারিতভাবেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ভুবনেশ্বরের এইমসে নিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। এই প্রসঙ্গের অবতারণা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘জেনেশুনে আজ পর্যন্ত আমি কোনও অন্যায় করতে দিইনি নিজেকে। একজন মহিলার বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে। সেটা তো বিচারের ব্যাপার। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সত্যিটা বেরিয়ে আসুন। তাতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিলেও আমি কিছু মনে করব না।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘যদি কেউ চোর হয়, ডাকাত হয়, তৃণমূল কংগ্রেস কেয়ার করে না। আমি নিজের এমএলএ, এমপিদের স্পেয়ার করি না, মনে রাখবেন। কিন্তু অযথা আমার গায়ে কালি ছেঁটানোর চেষ্টা করলে মনে রাখবেন, আমার হাতেও আলকাতরা আছে। যদি কেউ অন্যায় করে থাকে, তার দায়িত্ব সে নেবে।’
এরপর পার্থকে ভুবনেশ্বরে নিয়ে যাওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘লজ্জা লাগছিল, বলে কিনা ওড়িশার এইমসে নিয়ে যেতে হবে, ট্রিটমেন্ট করতে। বাংলায় সারা ভারতের মধ্যে পিজি হাসপাতাল নম্বর ওয়ান, বাঙুর আছে, সাগর দত্ত আছে, মেডিক্যাল আছে, বেসরকারিও ভালো ভালো হাসপাতাল আছে। এই সব হাসপাতাল ছেড়ে দিয়ে কেন বাবা ইএসআই হাসপাতালে যেতে হবে? কমান্ড হাসপাতালে যেতে হবে? সেন্ট্রাল গভার্নমেন্টের ছোয়া আছে বলে? হোয়াট ইজ দ্য ইনটেনশন? বলে, এইমস ওড়িশাতে নিয়ে যেতে হবে। কেন, বাংলাতে কি কিছু নেই! এটা কি বাংলার অসম্মান নয়? তোমরা কী মনে কর, সেন্ট্রাল গভার্নমেন্ট সাধু আর রাজ্যগুলি চোর। রাজ্যগুলি আছে বলে তোমরা বেঁচে আছ।’
একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘মহারাষ্ট্র তো ছেড়ে দিয়েছে, লড়াই করতে পারেনি বলে। খুব বলছে, মহারাষ্ট্র করেছি, এরপর ঝাড়খণ্ড করব, এরপর ছত্তিশগড় করব, তারপর বাংলা করব। আমি বলি, বাংলা এসো না একবার। বঙ্গোপসাগর পেরিয়ে আসতে হবে কিন্তু। সুন্দরবন পেরোতে গেলে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার কামড়ে দেবে আর নর্থ বেঙ্গল পেরোতে গেলে হাতি এমন শুড়ে ঘোরাবে, টপকে ফেলে দেবে।’