বাংলাদেশে দুর্গাপুজোর মণ্ডপে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর 'নীরবতা' নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলল তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র জাগো বাংলা। তৃণমূলের অভিযোগ, এক্ষেত্রে বিজেপি কুৎসিত রাজনীতি করছে।
দলীয় মুখপত্রে ‘বাংলাদেশের হৃদয় হতে’ নামাঙ্কিত সম্পাদকীয়র শুরুতেই স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশে পুজোর সময়ে যা ঘটেছে তা অন্যায়। পরিকল্পিত চক্রান্ত। এর সঙ্গে সাধারণ হিন্দু-মুসলমানের কোনও সম্পর্ক নেই। কারা কেন এই ষড়যন্ত্র করেছে বোঝা যায়। তদন্ত হোক। এটা ঘটনা যে এতে সেখানকার সংখ্যালঘুরা আতঙ্কিত। কিন্তু এটাও ঘটনা যে হাসিনা সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছেন। আরও আশার কথা যে, বাংলাদেশেই এই হামলার প্রতিবাদে মিটিং, মিছিল, মহামিছিল হচ্ছে। একাধিক মুসলিম সংগঠন এগিয়ে এসেছে প্রতিবাদে। কয়েকটি মিছিল দেখলে আশা জাগছে, ভরসা থাকছে। এটাই বাংলাদেশের হৃদয়।’
প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকাকে কটাক্ষ করে তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলায় লেখা হয়, ভোটের আগে যেখানে গিয়ে তিনি প্রচার সেরেছিলেন, এখন সেই বাংলাদেশ নিয়েই কেন নীরব রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আসলে বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে বিজেপি। জাগো বাংলার সম্পাদকীয় ‘বাংলাদেশের হৃদয় হতে’ শীর্ষক লেখায় বলা হয়েছে, ‘আমরা বিস্মিত, ভারতের যে প্রধানমন্ত্রী ভোট টানার অঙ্কে বাংলাদেশে পুজো দিতে গিয়ে প্রচার সারলেন, তিনি এবার প্রথম থেকে নিষ্ক্রিয় কেন? নাকি বাংলাদেশের হিন্দু নিগ্রহ দেখাতে পারলে সেই সুড়সুড়ি দিয়ে বাংলায় হিন্দু আবেগ উস্কে ভোট টানার চেষ্টা? বাংলাদেশের ঘটনায় যথাযথ তদন্ত চাই।’ এই প্রসঙ্গে মুখপত্রের প্রথম পাতায় ‘শকুনের রাজনীতি বিজেপি’-র শিরোনামে বিদ্ধ করা হয়েছে।
সম্পাদকীয়ের বিষয় প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান, ‘বাংলাদেশের হিংসা নিয়ে বিজেপি কোনও রাজনৈতিক চাল দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। নাহলে কেন শুভেন্দু বলবেন, বাংলাদেশে ভোটের পর আমাদের ভোট বাড়বে। তাহলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, সমীকরণটা আসলে কী?’ কুণালের বিরোধিতা করেছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর মতে, মোদীজি কোথায় কেন পুজো দিতে গিয়েছিলেন, সেটা বোঝার মতো ক্ষমতা তৃণমূলের কারও নেই। উল্লেখ্য, গত বিধানসভা ভোটের আগে বাংলাদেশ সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে গিয়ে মন্দিরে পুজোও দেন তিনি।