এই বছরও ভার্চুয়াল মাধ্যমেই শহিদ দিবস পালন করছে তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ এখন দেশজুড়ে চলছে করোনাভাইরাসের প্রকোপ। তবে এবারই প্রথম সর্বভারতীয় প্রেক্ষাপটে বার্তা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কন্ঠস্বর শোনা যাবে নয়াদিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, ত্রিপুরা–সহ একাধিক রাজ্যে। প্রত্যেকবার এই দিনটিকে শহিদ দিবস হিসাবে পালন করে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার বিপুল জনসমর্থন নিয়ে তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তারপরই প্রথম জাতীয় স্তরে দিনটি পালন করছে রাজ্যের শাসকদল।
দু’বছর আগেও কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলায় ২১ জুলাই সমাবেশ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই পুলিশের গুলিতে ১৩ জন যুব কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন রাজ্য যুব কংগ্রেস নেত্রী। যুব কংগ্রেসের ডাকে মহাকরণ ঘেরাও কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। সেখানে গুলি চালানোর ঘটনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক কেরিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়ায়। বিরোধী দল কংগ্রেস সিপিআইএমের বিরুদ্ধে নির্বাচনে রিগিংয়ের অভিযোগ তুলেছিল। স্বচ্ছ নির্বাচনের দাবিতে কংগ্রেস ভোটারদের সচিত্র পরিচয় পত্রের দাবিতে মহাকরণ অভিযানের ডাক দিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন যুব কংগ্রেস। সেখানেই পুলিশের গুলিতে ১৩ জন কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল।
তারপর কংগ্রেস ছেড়ে তিনি গঠন করেন তৃণমূল কংগ্রেস। ৩৪ বছরের রেজিমেন্টেড পার্টিকে ২০১১ সালে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেন তাঁর একক ক্যারিশ্মা। তবে তার আগে থেকেই শহিদ দিবস পালন করেন তিনি। শহিদ পরিবারগুলিকে পাশে নিয়ে সেই লড়াই করে তিনি ক্ষমতায় এসেছেন। কিন্তু আজও তাঁদের কথা ভোলেননি। তৃতীয়বার সরকারে এসেও তাই পালন করা হচ্ছে শহিদ দিবস। ক্ষমতায় আসার পর এই ঘটনার তদন্তে বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করেছিল তৃণমূল সরকার। ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাইয়ের ঘটনার পর থেকে প্রতি বছর এই দিনটি শহিদ দিবস হিসেবে পালন করে তৃণমূল কংগ্রেস। আজ তা রাজ্যের আঙিনা ছাড়িয়ে দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে।