দমদমে টিউশনে পড়তে যাওয়া দুই ছাত্রীর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কিছুদিন আগেই মৃত্যু হয়েছে। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের মন্তব্যকে ঘিরে বিতর্ক দানা বেধেছে। তাঁর মতে, বৃষ্টির দিনে কেনই বা বেরিয়েছিলেন ছাত্রীরা। যদিও এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে মৃত ছাত্রীর পরিবার। মৃত ছাত্রীর মা কাঁদতে কাঁদতে জানান, উনি কী তান্ত্রিক নাকি জ্যোতিষী। সব জেনে বসে আছেন। বিতর্কের পর এদিন দুপুরে মৃত ছাত্রীর বাড়িতে যান তৃণমূল সাংসদ। মৃত ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে ক্ষতিপূরণের টাকা দিয়ে আসেন তিনি।
দুদিন আগে দমদমের বান্ধবনগরে শ্রেয়া বণিক ও অনুষ্কা নন্দী নামে দুই ছাত্রীর টিউশন পড়তে গিয়ে মৃত্যু হয়। এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ জানান, ‘মেয়েগুলির তো বেরোনোর কথা ছিল না। ওরা বেরিয়ে ল্যাম্পপোস্টটাকে ধরল। এরপরই ওরা মারা গেল। এর থেকে দুর্ভাগ্যজনক আর কি হতে পারে।’ একইসঙ্গে তৃণমূলের ওই সাংসদ জানান, এই সময় ল্যাম্পপোস্ট ধরা উচিত নয়। যে বাচ্চা দুটি মারা গিয়েছে, সেই ঘটনা খুবই মর্মান্তিক। কিন্তু এর দায় কার সেটা বলে কোনও লাভ নেই। তৃণমূল সাংসদের এই মন্তব্যে স্বভাবতই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। নিজের মেয়েকে হারিয়ে সন্তানহারা এক মা জানান, উনি দেখেছিলেন? উনি কী সব জেনে বসে রয়েছেন? উনি কী জ্যোতিষী নাকি তান্ত্রিক? তান্ত্রিক হলে আমার মেয়েকে এনে দিন।
মৃত ছাত্রীর পরিবারের তরফে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত হওয়ার পর মৃত ছাত্রী অনুষ্কা বনিকের বাড়িতে যান সাংসদ সৌগত রায়। পরিবারের সদস্যদের হাতে ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ তুলে দিয়ে তৃণমূল সাংসদ জানান, ‘কীভাবে ওই দুই ছাত্রী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হল, তা খতিয়ে দেখতে হবে। আমরা যাই করি না কেন, দুই শিশুকে তো আর ফেরাতে পারব না।’ একইসঙ্গে এলাকার স্থানীয় কাউন্সিলার জানান, ‘আমাদের নিকাশী বাগজোলা খাল নির্ভর। জল তো ওয়ার্ডের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এলাকায় জল জমার দায় আমার ওপর বর্তাবে কেন?’