ট্যাংরায় একই পরিবারের ৩ জনের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন পরিবারের এক ব্যবসায়িক সহযোগী। এদিন আতুল সূর লেনে দে পরিবারের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে প্রণয় ও প্রসূনবাবুর দেওয়া চেকগুলি বাউন্স করছিল। এমনকী সোমবারও তাঁদের দেওয়া একটি চেক বাউন্স করে। এর পর তিনি বাড়িতে এলেও কারও দেখা পাননি। এমনকী কারখানায় গিয়েও দেখা পাওয়া যায়নি ২ ভাইয়ের।
আরও পড়ুন - জানা গেল ট্যাংরায় নিহতদের নাম, ক্রমশ জোরাল হচ্ছে খুনের তত্ত্ব
পড়তে থাকুন - ওসিকে পিটিয়ে গ্রেফতার আরেক ওসি, চাঞ্চল্য পুলিশমহলে
ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, ২০২০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ২ ভাইয়ের কারখানায় চামড়া সরবরাহ করতেন তিনি। কিন্তু ক্রমশ তাদের টাকা মেটানোয় সমস্যা হতে থাকে। একের পর এক চেক বাউন্স হতে থাকে তাদের। এভাবে ২ ভাইয়ের কাছে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা পাওয়া হয়ে গিয়েছে তার।
তিনি জানান, সম্প্রতি ২ ভাইয়ের তরফে তাঁকে একটি চেক দেওয়া হয়। সেই চেকটি জানুয়ারি মাসে ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাঁকে ফেব্রুয়ারি মাসে চেকটি জমা দিতে অনুরোধ করা হয় প্রসূনবাবুর তরফে। সোমবার তিনি ২.৫ লক্ষ টাকার চেকটি ব্যাঙ্কে জমা দিলে মঙ্গলবার জানতে পারেন সেটিও বাউন্স করেছে। এর পর তিনি দে পরিবারের বাড়িতে আসেন। কিন্তু ডাকাডাকি করে সাড়া পাননি। এর পর দে পরিবারের কারখানায় যান। সেখানে থাকেন তাঁদের এক আত্মীয়। তাঁকে জিজ্ঞেস করতে তিনি বলেন, প্রসূন ও প্রণয়বাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না তিনিও। এমনকী তাঁদের স্ত্রীদেরও মোবাইল ফোন বন্ধ।
আরও পড়ুন - স্কুলের মধ্যে ২ ছাত্রের মারামারি, সহপাঠীর ঘুসিতে মৃত্যু হল ১ জনের
তিনি বলেন, দে পরিবারের চামড়া রফতানির কারবার ভালোই চলছিল। ব্যবসায় ওঠা পড়া থাকেই। তাই বলে কেউ এরকম চরম পদক্ষেপ করতে পারে এটা ভাবতে পারছি না।